ভারতে গাড়িদূষণ কমাতে EV ও জৈব-জ্বালানিকে হাতিয়ার করে এগোতে চাইছে কেন্দ্র

Avatar

Published on:

যানবাহন থেকে কালো ধোঁয়া নির্গমন, ভারতের পরিবেশ দূষণের জন্য অন্যতম একটি কারণ। যা নিয়ে চিন্তিত সরকার এবং পরিবেশবিদগণ। বায়ু দূষণে দেশের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রাজধানী দিল্লি। শীতকালে এই বিষাক্তের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য এখন বায়ু দূষণের চোখরাঙানির শিকার। যার থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari) বারংবার বিকল্প জ্বালানি ও পরিবেশবান্ধব যানবাহন ব্যবহারে জোর দেওয়ার কথা বলে আসছেন। সম্প্রতি আরও একবার তিনি গ্রীন ফুয়েল (Green Fuel) এবং ইলেকট্রিক ভেহিকেলের (EV) প্রসঙ্গ তুললেন।

বিকল্প জ্বালানির মধ্যে ইথানল ফুয়েল ব্যবহারে সক্ষম ফ্লেক্স ফুয়েল (Flex Fuel) ইঞ্জিন সহ যানবাহন আগামী ৬ মাসের মধ্যে বাজারে নিয়ে আসার বিষয়ে ইতিমধ্যেই গাড়ি সংস্থাগুলিকে লিখিত আকারে পরামর্শ দিয়েছেন গডকড়ী। সম্প্রতি তিনি উত্তরপ্রদেশের সড়ক প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে বলেছিলেন, “ইথানাল দ্বারা পেট্রোল প্রতিস্থাপিত হলে পরিবেশ সতেজ হয়ে উঠবে এবং কৃষকদের জন্য হবে এটি বিশেষ উপার্জনের পথ।”

ফ্লেক্স ফুয়েল (Flex Fuel) হল একটি বিকল্প জ্বালানি, যা ইথানল অথবা মিথানলের সাথে পেট্রোল মিশ্রিত করে তৈরি করা হয়। এবং ফ্লেক্স ফুয়েল (Flex Fuel) ইঞ্জিন আবার সম্পূর্ণ পেট্রোল অথবা সম্পূর্ণ ইথানল অথবা এই দুইয়ের মিশ্রণে চলতে পারে। পেট্রোল ও ডিজেলের তুলনায় এই জ্বালানির দাম যেমন কম, অন্যদিকে এতে চলা যানবাহনের থেকে পরিবেশ দূষণের মাত্রাও অনেকটাই কম।

এছাড়া বিকল্প জ্বালানির মধ্যে সিএনজি (CNG)-কেও গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সড়ক মন্ত্রী এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ধানের খড় থেকে সিএনজি তৈরির প্রচেষ্টা চলছে।বর্তমানে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণের উৎকৃষ্ট পন্থা হল গণহারে পরিবেশবান্ধব যানবাহনের ব্যবহার। কিন্তু ভারতে এখনো জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত যানবাহনের সংখ্যাই অধিক। তবে গত বছর অর্থাৎ ২০১-এ ভারতে তাৎপর্যপূর্ণ হারে বৈদ্যুতিক যানবাহন বিক্রি হয়েছে। যার মধ্যে এগিয়ে ইলেকট্রিক দুই এবং তিন চাকার গাড়ি। এই সংখ্যাটি এবছর আরো বাড়বে বলেই আশাবাদী বিশেষজ্ঞ মহল।

সঙ্গে থাকুন ➥