ঠিকানা বদল করলেও নতুন ভোটার কার্ড দরকার নেই, জেনে নিন e-EPIC কার্ডের সুবিধা

Published on:

এই বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে দেশের পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এই কারণে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক আন্দোলনও বেশ তীব্র হয়েছে। তবে এবারের ভোটের উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল যে, নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচনে ভোটার কার্ড ছাড়াও ভোট দেওয়ার জন্য আরও অনেক অপশন দিয়েছে। আসলে ১১তম জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে (২৫শে জানুয়ারী ২০২১ তারিখে), নির্বাচন কমিশন, ডিজিটাল ভোটার আইডি কার্ড বা ইলেকট্রনিক ইলেক্টোরাল ফটো আইডি কার্ডের সুবিধা চালু করেছিল, যা সারা দেশে e-EPIC (ই-এপিক) নামে পরিচিত। সোজা ভাষায় বললে ভোটার আইডি কার্ডের অ-সম্পাদনাযোগ্য এবং সুরক্ষিত পিডিএফ সংস্করণ হল এই e-EPIC, যা আপনি সহজেই মোবাইল বা কম্পিউটারের সাহায্যে এটি ডাউনলোড করতে পারেন। এবং ডিজি লকারে e-EPIC আপলোড করতে পারেন। কীভাবে? আসুন বিস্তারিতভাবে জেনে নিই…

e-EPIC ডাউনলোড করার ধাপ বা প্রক্রিয়া

১. প্রথমে https://www.nvsp.in ওয়েবসাইটে লগইন করুন।

২. লগইন করার পর ‘ই-এপিক’ কার্ডের অপশনে ক্লিক করুন।

৩. ইউজারের নাম এবং পাসওয়ার্ড রেজিস্টার করুন এবং কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করতে ‘ই-কেওয়াইসি’ অপশনে ক্লিক করুন।

৪. এরপর ফেস ডেটা ভেরিফিকেশন করুন এবং ই-কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করতে আপনার মোবাইল নম্বর আপডেট করুন।

৫. এই প্রক্রিয়াটি শেষ হওয়ার পরে ডাউনলোড করুন আপনার ই-এপিক।

কারা e-EPIC কার্ডের সুবিধা পাবেন?

বর্তমানে ই-এপিক ডাউনলোডের সুবিধা শুধুমাত্র সেই ভোটারদের জন্য উপলব্ধ যারা নভেম্বর ২০২০-এর পরে রেজিস্টার করেছেন। এছাড়া যারা ঘন ঘন শহর বা রাজ্য পরিবর্তন করেন তাদের জন্যও সুবিধাটি প্রযোজ্য। এই নতুন ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করার প্রয়োজন নেই, আগ্রহীরা কেবল তাদের ঠিকানা পরিবর্তন করে একটি নতুন কার্ড ডাউনলোড করতে পারেন।

e-EPIC কার্ডের উপকারিতা

গত বছর জাতীয় ভোটার দিবসে নির্বাচন কমিশন ই-এপিকের সুবিধা চালু করেছে। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল ভোটারদের প্রতিবার শহর বা রাজ্য পরিবর্তনের সময় নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে না।

সঙ্গে থাকুন ➥