নিজের হাতে আস্ত এক এরোপ্লেন বানিয়ে ইউরোপ ভ্রমণ, ভারতীয়র কীর্তি শুনলে অবাক হয়ে যাবেন

Avatar

Published on:

এক ভারতীয়ের জুগাড়ে তাক লাগলো বিশ্ববাসীর। নিজেই বাড়িতে বানিয়ে ফেললেন আস্ত একটি প্লেন। এর আগে বাড়িতে বিভিন্ন ব্যক্তির হরেক চাকার যানবাহন বানানোর কথা শোনা গেলেও, বাড়িতে উড়োজাহাজ নির্মাণের খবর তাজ্জব করার মতোই। বর্তমানে লন্ডনের বাসিন্দা অশোক আলিসেরিল নামে এক ব্যক্তি নিজের চেষ্টায় একটি গোটা ছোট এরোপ্লেন বানিয়েছেন। যাতে করে তিনি সমগ্র ইউরোপ নিজের পরিবারের সাথে খুশ মেজাজে ভ্রমণ করছেন। পরিবারে রয়েছে স্ত্রী ও খুদে দুই কন্যা। অশোকের তৈরি প্লেনটি চার আসন বিশিষ্ট হওয়ায় চারজন সদস্যের পরিবারটি এদেশ থেকে ও দেশ মহানন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছর ৩৮-এর অশোক বর্তমানে ইউরোপের বাসিন্দা হলেও, জন্মসূত্রে সে ভারতীয়। কেরলে তাঁর বাল্যাবস্থা কেটেছে। ২০০৬ সালে উচ্চশিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে সে বিদেশে পাড়ি দেয়। কেরলের প্রাক্তন বিধায়ক এভি থামারক্ষণের পুত্র অশোক পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর স্ত্রীর নাম অভিলাষা।

ইউরোপের একাধিক দেশের মধ্যে জার্মানি, অস্ট্রিয়া এবং চেক প্রজাতন্ত্রে Sling TSi সিঙ্গেল ইঞ্জিন যুক্ত প্লেনে সওয়াড়ি হয়ে ভ্রমণ সেরে ফেলেছেন অশোক ও তাঁর পরিবার। কনিষ্ঠ কন্যা দিয়া’র নামে উড়োজাহাজটির ‘G-Diya’ নামকরণ করেছেন অশোক। লকডাউন চলাকালীন প্লেন তৈরির ভাবনা মাথায় আসে তাঁর। শুভস্য শীঘ্রম। দেরি না করে সে কাজে হাত লাগায় সে। তৈরি করতে অশোকের প্রায় ১৮ মাস সময় লেগে যায়।

নিজের জুগাড়ের প্রসঙ্গে অশোক বলেন, “২০১৮-তে পাইলট লাইসেন্স হাতে পাওয়ার পর আমি দুই আসন বিশিষ্ট ছোট এয়ারক্রাফ্ট ভাড়ায় নিয়ে ঘুরতাম।” কিন্তু পরিবারের সদস্যের সংখ্যা বাড়ার সাথে আসন সংখ্যা অপর্যাপ্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু পরিবারের সকলকে নিয়ে ঘুরতে গেলে প্রয়োজন যার আসন বিশিষ্ট প্লেন। এর পরই সেটি তৈরির কথা তাঁর মাথায় আসে। অশোক জানান, জোহানেসবার্গের একটি কোম্পানির তৈরি Sling এয়ারক্রাফ্ট থেকে তিনি প্লেন তৈরীর প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন। যেটি ২০১৮-তে লঞ্চ হয়েছিল।

পরবর্তীতে সেই ফ্যাক্টরিতে গিয়ে অশোক নিজের প্লেন তৈরির জন্য একটি কিট অর্ডার করেন। এরপর শুরু হয় লকডাউন। অগাধ সময় হাতে থাকায়, তিনি তার সদ্ব্যবহার করেন। প্লেনটি তৈরি করতে ভারতীয় মুদ্রায় তাঁর মোট ১.৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে অশোক প্রথম নিজের তৈরি এয়ারক্রাফ্টটি উড়ান। ট্রায়াল নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছিল।

সঙ্গে থাকুন ➥