পুরানো Bajaj Avenger 220 কিনবেন? সুবিধা ও অসুবিধাগুলি জেনে নিন

Avatar

Published on:

ভারতে ক্রুজার মডেলের মধ্যে বাজাজ অ্যাভেঞ্জার ২২০ (Bajaj Avenger 220) বাইকটি অন্যতম। গত এক দশক ধরে নিজের জনপ্রিয়তা বজায় রেখেছে এটি। সাধ্যের মধ্যে এন্ট্রি-লেভেল ক্রুজার বলা চলে একে। এর পুরানো মডেলটির সাথে কাওয়াসাকি এলিমিনেটর (Kawasaki Eliminator) এর যথেষ্টই মিল লক্ষ্য করা যায়। বাজাজ অ্যাভেঞ্জার ২২০ (Bajaj Avenger 220) এর পুরানো মডেলটি যদি আপনি কেনার কথা ভাবেন তবে তার সুবিধা ও অসুবিধাগুলি জেনে নিন।

পুরানো Bajaj Avenger 220 বাইক কেনার সুবিধা

১) বাজাজ অ্যাভেঞ্জার ২২০ বাইকটির ডিজাইনের জন্য একে এক নজরেই চেনা যায়। এর পুরানো মডেলগুলিও নজরকাড়া ডিজাইনের জন্য বিখ্যাত ছিল।

২) অ্যাভেঞ্জার ২২০ প্রচলিত ক্রুজার মডেলগুলির তুলনায় সামান্য হালকা মোটরসাইকেল। যার ফলে নতুন চালকদের কাছে পরিচালনা করা সহজ সাধ্য।

৩) দীর্ঘদিন ধরে বাইকটির বেশিরভাগ অংশই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। তাই এর যন্ত্রাংশ খুব সহজেই বাজারে উপলব্ধ এবং দামও সাধ্যের মধ্যেই। তাই কারোর জন্য ক্রুজারের পুরানো মডেলটি দুর্দান্ত প্রমাণিত হতে পারে।

৪) পুরানো মডেলটির বড় হুইল বেস এবং ১৯ এনএম এর শক্তিশালী টর্ক উৎপন্নকারী ইঞ্জিনটি রাস্তায় এখনো দারুণ পারফরমেন্স দেয়।

৫) এর গতি প্রতি ঘন্টায় ১০০ কিমি বা তার বেশি হলেও অ্যাভেঞ্জার ২২০ যথেষ্টই স্থিতিশীল থাকে। একটি ৮ বছরের পুরানো অ্যাভেঞ্জারের দাম হতে পারে ৩০-৩৫ হাজার টাকা, যা সাধ্যের মধ্যেই বলা চলে।

পুরানো Bajaj Avenger 220 বাইক কেনার অসুবিধা

১) বাজাজ অ্যাভেঞ্জার ২২০ (Bajaj Avenger 220)-র দাম বরাবরই সাধ্যের মধ্যেই ছিল। তাই গুনমানের দিক থেকে একটু কমতি রয়েছে এতে। যেমন পুরানো মডেলটির ক্রোম বিটের পাশের অঞ্চলে মরিচা (rusting) নজরে পড়তে পারে।

২) পেছনের পিলিয়নটি বরাবরই দারুণ দেখতে হলেও এটি কিন্তু আরামদায়ক নয়। সিটের কম উচ্চতা এবং সামনের দিকে এগিয়ে থাকা ফুটপেগ্সে অভ্যস্ত হতে বেশ কিছু দিন সময় লাগতে পারে।

৩) এর ব্রেকিং সিস্টেমটি মোটামুটি বলা চলে। বাইকটির ফ্রন্টে ডিস্ক ব্রেক থাকলেও রিয়ার ডিস্ক ব্রেক নেই।

৪) কম গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্সের জন্য বাইকটির নিচের অংশে ঘষা লাগার সম্ভাবনা প্রবল, যা ট্রাফিক সিগনালে ধীর গতিতে চলার ক্ষেত্রে অসুবিধাজনক।

৫) অন্যান্য ক্রুজারের মত এর টর্কটি অতটাও শক্তিশালী নয়। কারণ এতে ২২০ সিসি স্ট্রীট বাইক বাজাজ পালসার ২২০এফ (Bajaj Pulsar 220F)-এর ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। তবে কম দামের মধ্যে যদি ক্রুজার বাইকের স্বাদ পেতে হয় তাহলে Bajaj Avenger 220 এককথায় অনবদ্য।

সঙ্গে থাকুন ➥