কম খরচে সমুদ্রের জল থেকে লিথিয়াম নিষ্কাশনের নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

Avatar

Published on:

বিশ্বজুড়ে বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন এখন আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। ফলে পাল্লা দিয়ে লিথিয়ামের চাহিদা এখন ঊর্দ্ধমুখী। হালকা ওজন এবং প্রচুর পরিমাণে শক্তি সঞ্চয় করতে পারে বলে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারিতে লিথিয়াম ব্যবহার হয়ে থাকে। আগামী দশকে লিথিয়ামের চাহিদা প্রায় দশগুণ বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তবে পৃথিবীতে লিথিয়াম অফরুন্ত নয়। ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে গিয়ে লিথিয়ামের ভাঁড়ার একদিন শেষ হবে।

ফলে বিজ্ঞানীরা এখন থেকেই লিথিয়ামের অন্যান্য উৎস সন্ধানে উঠেপড়ে লেগেছেন। রিসার্চ বলছে, সমুদ্রের জলে ভূমির তুলনায় প্রায় ৫,০০০ গুণ বেশি পরিমাণে লিথিয়াম মজুত রয়েছে কিন্তু তা অত্যন্ত কম ঘনত্বে। গবেষণা চালিয়ে এবার সেই সমুদ্রের জল থেকে লিথিয়াম নিষ্কাশনের একটি সস্তা উপায় বার করলেন সৌদি আরবের আবদুল্লা ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি-র একদল গবেষক।

নতুন পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য তাঁরা লোহিত সাগরের জলকে ব্যবহার করেছেন। ওই গবেষকরা একটি বৈদ্যুতিন রাসায়নিক সেল উদ্ভাবন করেছেন যা লিথিয়াম ল্যান্থানাম টাইটেনিয়াম অক্সাইড থেকে তৈরি সেরামিক মেমব্রেনকে ধারণ করে। এর স্ফটিক কাঠামোতে এমন ছিদ্র রয়েছে যা পজিটিভ লিথিয়াম আয়নকে সহজেই প্রবেশ করতে দেয়। কিন্তু বড় মেটাল আয়নের ভেতরে ঢোকার পথ অবরুদ্ধ করে দেয়। গবেষক দলের প্রধানের কথায়,”মেমব্রেন স্ট্রাকচার এবং সেল ডিজাইন অপ্টিমাইজ এবং পদ্ধতির কার্যকারিতা বাড়াতে আমরা গবেষণা চালিয়ে যাব”।

গবেষকরা অনুমান করেছেন যে সমুদ্রের জল থেকে এক কেজি লিথিয়াম উত্তোলনের জন্য এই সেলের ৫ ডলার মূল্যের বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। নিষ্কাশনের এই প্রক্রিয়া চলাকালীন ক্যাথোড এবং অ্যানোডে উৎপাদিত হাইড্রোজেন ও ক্লোরিন খরচের একটি ভারসাম্য তৈরি করবে এবং পানীয় জল তৈরির জন্য অবশিষ্ট জলকে ডিস্যালিনাইজেশন প্ল্যান্টে পাঠানো যাবে।

সায়েন্সম্যাগে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে অনুসারে, ২০৮০ সালের মধ্যেই গ্রহে লিথিয়ামের ভাঁড়ার শেষ হয়ে যাবে। ফলে কম খরচে সমুদ্রের জল থেকে লিথিয়াম নিষ্কাশনের আরও কার্যকরী পদ্ধতি আবিষ্কার অত্যন্ত ইতিবাচক দিক।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥