ইলেকট্রিক গাড়ির দুনিয়ায় এবার Sony, জাপানি সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে 2025 সালে প্রথম মডেল

Avatar

Published on:

ব্যাটারি চালিত যানবাহনের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ প্রত্যক্ষ করে বেশকিছু গাড়ি বহির্ভূত সংস্থা এক্ষেত্রে ব্যবসা শুরু করতে উৎসাহী হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম টেক জায়ান্ট সনি (Sony)। চলতি বছরের শুরুতেই সংস্থাটি বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে পদার্পণ করতে চলেছে বলে ঘোষণা করেছিল। যা বাস্তবায়িত হবে জাপানি বহুজাতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী হোন্ডা (Honda)-র তত্ত্বাবধানে। এই মর্মে সংস্থাদ্বয় সমান ভাগের আনুপাতিক হারে যৌথ উদ্যোগ বা জয়েন্ট ভেঞ্চার চালু করেছে। যার নাম সনি হোন্ডা মোবিলিটি ইনকর্পোরেটেড (Sony Honda Mobility Inc)। ২০২৫-এর মধ্যেই তারা বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে নিয়ে আসবে বলে খবর।

সনি ও হোন্ডা নিজেদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়েছে। ইলেকট্রিক গাড়ির তৈরি এবং বিক্রির দায়িত্বে থাকবে হোন্ডা। আর নিজেদের সফটওয়্যার এবং প্রযুক্তি দিয়ে গাড়িগুলিকে সম্পূর্ণ করে তুলবে সনি। একথা বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে। এদিকে গাড়ির বাজারে হোন্ডার মূল প্রতিপক্ষ হল টয়োটা মোটর (Toyota Motor)। বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে আসতে টয়োটার মধ্যে এখনও ততটা তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। বর্তমানে একটিমাত্র ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রি করে হোন্ডা। যার নাম Honda e। তবে ২০৩০-এর মধ্যে বাজারে ৩০টি মডেল হাজির করার পাশাপাশি বার্ষিক উৎপাদনের পরিমাণ ২০ লক্ষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

যদিও কোন মডেলের গাড়ি আনা হবে সে সম্পর্কে কোন নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে অনুমান,।এটি হতে পারে Vision-S 01 নামে একটি সেডান ও Vision-S 02 ক্রসওভার। জয়েন্ট ভেঞ্চারে প্রত্যেকে ৫ বিলিয়ন ইয়েন বিনিয়োগ করবে। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ২৯৩ কোটি। ভারতের মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে বাজেটের মধ্যে থাকলে তবেই ইলেকট্রিক গাড়ি কিনতে আগ্রহী ক্রেতারা। সে ক্ষেত্রে দাম ২০ লক্ষ হলে ভারতে ভাল সাড়া মিলতে পারে।

প্রসঙ্গত, এপ্রিলে সনি ছাড়াও আমেরিকার জেনারেল মোটরস (GM)-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এক আধুনিক গ্লোবাল আর্কিটেকচারের উপর ভিত্তি করে একাধিক ইলেকট্রিক গাড়ি বিকাশের কথা জানিয়েছিল হোন্ডা। ২০২৭ সাল থেকেই সেগুলির উৎপাদন শুরু হবে। আবার ২০২৪-এ হোন্ডার হয়ে দু’টি বৈদ্যুতিক এসইউভি (Prologue এবং Acura) নির্মাণের কথা আগেই ঘোষণা করেছে জিএম। তারা ২০৪০ সালের মধ্যে তাদের গাড়ি থেকে উৎপাদিত কার্বন নিঃসরণের মাত্রা নেট জিরো অর্থাৎ শূন্যে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। আর হোন্ডার লক্ষ্য, ২০৫০ সালের মধ্যে ওই কৃতিত্ব অর্জন।

সঙ্গে থাকুন ➥