Driving License: ভারতে কত প্রকারের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয় জানেন?

Avatar

Published on:

এ কথা সকলেই জানি যে, ভারতের রাস্তায় গাড়ি অথবা টু-হুইলার চালাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর প্রয়োজন। আসলে মোটর ভেহিকেলস অ্যাক্ট, ১৯৮৮ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া ভারতের কোনো রাস্তায় যানবাহন নিয়ে বেরোলেই তা দণ্ডনীয় অপরাধ। স্থানীয় পরিবহণ দপ্তরের কার্যালয় থেকে জনসাধারণকে ড্রাইভিং লাইসেন্সটি অনুমোদন করা হয়। তবে জানেন কি আমাদের দেশে কয় প্রকারের ড্রাইভিং লাইসেন্স উপলব্ধ রয়েছে? এই প্রতিবেদনে সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

লার্নার লাইসেন্স (Learner’s Licence)

লার্নার লাইসেন্স হল ভারতের রাস্তায় গাড়ি চালানোর জন্য প্রাপ্ত প্রাথমিক অনুমোদন পত্র। এর বৈধতার সময়কাল ৬ মাস। গাড়ি চালানো শিখতে এটি ইস্যু করে থাকে সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ। তবে এ ক্ষেত্রে রয়েছে বেশ কিছু নিয়ম কানুন – প্রথমত, আপনার গাড়িটিতে লাগাতে হবে একটি লাল রঙের ইংরেজি অক্ষরের ‘এল’ (L), দ্বিতীয়ত, আপনার প্রশিক্ষকের থাকতে হবে একটি স্থায়ী (পার্মানেন্ট) লাইসেন্স, তৃতীয়ত, যদি টু-হুইলার হয়, তবে আপনার প্রশিক্ষককে যাত্রীর সিটে বসতে হবে।

স্থায়ী লাইসেন্স (Permanent Licence)

লার্নার লাইসেন্সটি ৬ মাস হয়ে যাওয়ার পর পার্মানেন্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে একটি ড্রাইভিং পরীক্ষা দিতে হয়। যার জন্য আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে। এই পার্মানেন্ট লাইসেন্সটিতে আবেদনকারীর নাম, বয়স, স্থায়ী ঠিকানা এবং কী ধরনের গাড়ি চালানোর জন্য এটি অনুমোদন করা হয়েছে তার উল্লেখ থাকে। দুই এবং চার চাকার গাড়ি অথবা দুটির জন্যই এই পার্মানেন্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়।

বাণিজ্যিক ড্রাইভিং লাইসেন্স (Commercial Driving Licence)

নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এই ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স মূলত বাণিজ্যিক গাড়ি চালানোর জন্যই দেওয়া হয়ে থাকে। তা সে যাত্রীবাহী বা পণ্য পরিবহণকারী বড় গাড়ি হোক। তবে এটি পাওয়ার জন্য ড্রাইভিংয়ের যে পরীক্ষাটি দিতে হয় তা বেশ কঠিন। অন্যদিকে এই প্রকারের ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে গেলে আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণী পাস থাকতে হবে। এক্ষেত্রে এত কড়াকড়ির কারণ এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে অন্যান্যদের সুরক্ষার বিষয়।

আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিট (International Driving Permit)

ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং পারমিট তখনই পাওয়া যাবে যখন কারোর কাছে একটি পার্মানেন্ট লাইসেন্স রয়েছে। এটি থাকলে আপনি বিদেশের মাটিতে ভাড়ার অথবা নিজের গাড়ি চালাতে পারবেন। এই লাইসেন্সের বৈধতা থাকে এক বছর। তারপর আবেদনকারীকে পুনরায় এর জন্য আবেদন করতে হয়।

সঙ্গে থাকুন ➥