ইতিমধ্যেই ভারতের ‘সর্বাধিক সুরক্ষিত’ গাড়ির মানপত্র আদায় করেছে Tata Punch। গাড়ির নিরাপত্তা বিষয়ক শংসাপত্র প্রদানকারী সংস্থা গ্লোবাল NCAP ছোট এসইউভি-টিকে সুরক্ষা বিষয়ক ক্ষেত্রগুলিতে প্রায় পূর্ণ নম্বরই দিয়েছে। তার যথেষ্ট সঙ্গত কারণও রয়েছে। Tata-র অন্যতম অত্যাধুনিক সুরক্ষা বিষয়ক প্রযুক্তি অ্যাজাইল লাইট ফ্লেক্সিবল অ্যাডভান্সড (ALFA) সহ এসেছে গাড়িটি, যেটি দুর্ঘটনার কবল থেকে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা দেবে যানটিকে। এছাড়াও Punch এসইউভি-তে রয়েছে শক্তিশালী স্টিল, হট স্ট্যাম্প BIW স্ট্রাকচারাল প্যানেল, অ্যাডভান্সড রিস্ট্রেইন্ট সেফটি কম্পোনেন্ট এবং সামনের যাত্রীদের জন্য ক্র্যাশ লকিং টাং-এর মত সুরক্ষাবলয়।
Tata Punch-এ নিরাপত্তার বিশেষত্ব
পাঞ্চকে সুরক্ষিত বানানোর দিক থেকে কোনোরকম খামতি রাখেনি টাটা। এর সামনের সারিতে ডুয়েল এয়ারব্যাগ, ইবিডি (EBD) প্রযুক্তির সাথে এবিএস (ABS), কর্নার স্টেবিলিটি কন্ট্রোল, ঘন কুয়াশায় নিরবচ্ছিন্ন যাত্রার জন্য কর্নারিং ফাংশনের সাথে ফগ ল্যাম্প, গাড়ির শিশু যাত্রীদের জন্য ISOFIX অ্যাঙ্কর পয়েন্ট, পেরিমেট্রিক অ্যালার্ম সিস্টেম, পার্কিংয়ের সুবিধার জন্য রিভার্স ভিউ ক্যামেরা, চালক এবং সহ চালকের সিট বেল্ট রিমাইন্ডার, টায়ার পাংচার রিপেয়ার কিট সহ আরো অন্যান্য নিরাপত্তার বিশেষত্ব রয়েছে এতে। এছাড়াও টাটা পাঞ্চে রয়েছে ব্রেক সোয়ে কন্ট্রোল (Brake Sway Control), যা বেশি গতিতে চলাকালীন গাড়িটিকে হঠাৎ গতি কমানো বা থামানোর ক্ষেত্রে অধিক নিয়ন্ত্রণযোগ্য করেছে।
টাটা পাঞ্চকে দেশের ‘সর্বাধিক সুরক্ষিত’ যান বানাতে যথেষ্টই বেগ পেতে হয়েছে সংস্থাটির। এটি তৈরির সময় প্রত্যেকটি ধাপে বিশেষভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছিল। যেমন গাড়িটির বডি পার্টস, বহিরাংশের মেটেরিয়াল, সুরক্ষা বিষয়ক যন্ত্রাংশ, ব্রেকিং প্রযুক্তি ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয়গুলি অতি সচেতনতার সাথে মাথায় রেখে এগিয়েছে টাটা। আর তার ফল হাতেনাতেই পেয়েছে সংস্থাটি।
শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয় যাত্রীদের ক্ষেত্রেই Tata Punch গ্লোবাল NCAP-র থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে পাঁচতারার মানপত্র। সুরক্ষিত গাড়ির তালিকায় জায়গা করে নেওয়ার ক্ষেত্রে এটি সংস্থার তৃতীয় মোটরযান। এর আগে Tata Nexon (২০১৮) ও Tata Altroz (২০২০) সেই তালিকা স্থান পেয়েছিল। যদিও Tata Tiago এবং Tata Tigor তালিকার প্রথম দশে রয়েছে।