অনলাইনকে প্রাধান্য! Mi লোগো ঢেকে দিয়ে Xiaomi কে ভয় দেখাল রিটেল স্টোরের মালিকরা

Avatar

Published on:

অনলাইন শপিংয়ের আগমনের পর থেকেই কেনাকাটার প্রক্রিয়াটি মানুষের কাছে পুরোপুরিভাবে বদলে গেছে। ঘরোয়া কোনো জিনিসপত্র হোক বা কোনো ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট – এখন যে কোনো কিছু কেনার দরকার পড়লেই কাছাকাছি কোনো দোকানে যাওয়ার চাইতে অধিকাংশ লোকই সর্বপ্রথম অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে সার্চ করে। আর এর ফলে রিটেল স্টোরগুলির ব্যবসা যে মার খাচ্ছে সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এবার এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই নামজাদা স্মার্টফোন কোম্পানি Xiaomi এবং এর অফলাইন খুচরো বিক্রেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্বযুদ্ধ বাঁধলো।

সারা ভারতের কিছু এমআই প্রেফারড পার্টনার (Mi Preferred Partner) স্টোর (যে স্টোরগুলি ক্রেতাদের কাছে কেবল Xiaomi-র প্রোডাক্ট বিক্রি করে) মালিকদের বক্তব্য যে, শাওমি নতুন ফোনগুলি প্রথমে অনলাইনে বিক্রি শুরু করে এবং তারপরে অফলাইন স্টোরগুলিতে সরবরাহ করে। এরফলে তাদের ব্যবসা ক্ষতি হচ্ছে। অল ইন্ডিয়া মোবাইল রিটেইলারস অ্যাসোসিয়েশন (AIMRA) টুইটারে শাওমির ‘অনলাইন ফার্স্ট’ নীতির বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছে।

অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে যে, তারা অনলাইন এবং অফলাইন বিক্রেতাদের জন্য সমান সুযোগ চায়। দোকানের মালিকরা মনে করেন যে, যদি সমস্ত নতুন ফোন প্রথমে অনলাইনে বিক্রি করা হয়, তবে পরবর্তীকালে দোকানে বিক্রি করা হলেও সেগুলি আর নতুন না থেকে পুরোনো মডেল হিসেবেই প্রতিপন্ন হয় এবং তখন ক্রেতাদের কাছে আর সেই মডেলগুলির ততটা চাহিদা থাকে না। কারণ লঞ্চ হওয়া মাত্রই অধিকাংশ ক্রেতা চরম উৎসাহী হয়ে অনলাইনে ফোনগুলি কিনে নেন। তাই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে রিটেল স্টোরগুলির নিজের জায়গা ধরে রাখা অত্যন্ত মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।

এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে, কিছু Mi Preferred Partner স্টোর Samsung, Oppo, Realme, Vivo সহ অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ডের পোস্টার দিয়ে স্টোর ফ্রন্টের Mi logo ঢেকে দিয়েছে। যা ইঙ্গিত দেয় যে, যদি দোকান মালিকদের এই সমস্যার সমাধান না করা হয় তবে তারা প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ডগুলির ফোনও বিক্রি করা শুরু করতে পারে।

তবে স্টোর মালিকদের এই আচরণে কিন্তু ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ Xiaomi। উল্লেখ্য, শাওমি এর আগে দ্য ইকোনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছিল যে “অনলাইন পক্ষপাতিত্বের” অভিযোগে AIMRA-র এই পুরো প্রচারণাটি “Mi India এবং এর কর্মীদের বদনাম করার প্রচেষ্টা”। সংস্থাটি আরও বলেছে যে, এই প্রচারণাটি “অপবাদমূলক” এবং “অপমানজনক”।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥