যোগ নেই চীনা মিলিটারির সাথে, মার্কিন আদালতে জয় Xiaomi-র

Avatar

Published on:

গত জানুয়ারি মাসে চীনা সেনা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে, শাওমির (Xiaomi) মার্কিন বিনিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প। এককথায় চীনা কোম্পানি শাওমিকে (Xiaomi) ব্ল্যাকলিস্টে ফেলে দিয়েছিল আমেরিকার প্রশাসন। যদিও শাওমি (Xiaomi) তৎক্ষণাৎ এই অভিযোগগুলি অস্বীকার করে এবং মার্কিন সরকারের “অসাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞার” বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। সেই মামলারই ফল প্রকাশ হয়েছে আজ। মার্কিন আদালত এই মামলায় শাওমির (Xiaomi) পক্ষে রায় দিয়েছে। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে শাওমির সঙ্গে কমিউনিস্ট চীনা মিলিটারির কোনো সম্পর্ক নেই। ফলে শাওমির এখন আর মার্কিন বিনিয়োগ পেতে কোনো অসুবিধা নেই।

জানিয়ে রাখি এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আমেরিকানরা সরাসরি শাওমির স্মার্টফোন কিনতে পারত না। তবে মার্কিন আদালত এখন চীনা কোম্পানির পক্ষে রায় দেওয়ায় এই ধরণের কোনো বিধিনিষেধ থাকলো না। পাশাপাশি মার্কিন নাগরিকদের জন্য শাওমি স্মার্টফোন কেনাবেচার ক্ষেত্রে যে ১৩৯৫৯ এক্সিকিউটিভ অর্ডার ছিল তাও আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে বাতিল করা হয়েছে।

আদালতের রায় নিজেদের পক্ষে আসায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি শাওমি। তারা জানিয়েছে, “Xiaomi ব্যাপকভাবে বিস্তৃত, সর্বজনীনভাবে ব্যবসাকারী, স্বতন্ত্রভাবে পরিচালিত একটি কর্পোরেশন যে ইলেকট্রনিক্স পণ্যগুলি কেবলমাত্র বেসামরিক ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য সরবরাহ করে। তাই Xiaomi কে চীনা কমিউনিস্ট মিলিটারি সংস্থা হিসাবে প্রতিপন্ন করার সিদ্ধান্তটি স্বেচ্ছাচারী এবং হাস্যকর।”

শাওমির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, “শাওমি একটি নতুন এবং শক্তিশালী প্রযুক্তি সংস্থা। কয়েক বছর ধরে, আমরা সারা বিশ্বের গ্রাহকদের কাছে উপযুক্ত দামে স্মার্টফোন এবং স্মার্ট টিভির মতো ইলেকট্রনিক্স পণ্য সরবরাহ করেছি। উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের প্রত্যেককে উন্নত জীবন উপভোগ করাতে আমরা আমাদের বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের সাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥