এবার খাঁড়া নেমে এলো চাইনিজ স্মার্টফোন ও মোবাইল সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী Huawei-এর ওপর। এই কোম্পানিটিকে ব্রিটেন তথা ইউনাইটেড কিংডমে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন গত বছরে আমেরিকা থেকে পাততাড়ি গোটাতে বলা হয়েছিলো এই চীনা সংস্থাটিকে।
প্রসঙ্গত, গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন-চীন বাণিজ্যিক লড়াইয়ের জন্য চীনা সংস্থা হুয়াওয়ের যে কোনও ধরণের পরিষেবা নিষিদ্ধ করেছিলেন। এর পরে গুগল, হুয়াওয়ের স্মার্টফোনে কিছু পরিষেবা নিষিদ্ধ করেছিল।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন ব্রিটিশ সংসদে হুয়াওয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করেছেন। টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের হুয়াওয়ের কাছ থেকে কোনো 5G মোবাইল সরঞ্জাম কেনা চলবেনা । এছাড়া, টেলিকম সংস্থাগুলিকে ২০২৭ সালের মধ্যে তাদের এক্সিস্টিং হুয়াওয়ে ডিভাইস অপসারণ করতে বলা হয়েছে।
ব্রিটেন সরকার আরো বলছে হুয়াওয়ে, দেশের সুরক্ষার পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ, এই সংস্থাটিকে চীনা সরকার পশ্চিমে গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্য ব্যবহার করতে পারে। চীন ও হুয়াওয়ে উভয়েই বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মনে করা হচ্ছে, আমেরিকার চাপে পড়েই ব্রিটেন হুয়াওয়েকে তার 5G নেটওয়ার্ক অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে। তবে জানা গেছে জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিল ব্রিটিশ মন্ত্রীর এই আদেশের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
এই বিষয়ে হুয়াওয়ের যুক্তরাজ্যের মুখপাত্র এডওয়ার্ড ব্রুস্টার দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, এটি হতাশাব্যঞ্জক এবং সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।যুক্তরাজ্যের মোবাইল ফোন ইউজারদের জন্য খারাপ সংবাদ।
গত দুই দশকে তারা যুক্তরাজ্যে উন্নতি প্রযুক্তি এনেছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে তাদের আফসোস হচ্ছে। তারা সরকারের কাছে সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করছে।