WhatsApp ইউজারদের জন্য সুখবর, শুরু হচ্ছে মাল্টি-ডিভাইস সাপোর্ট ফিচারের পাবলিক টেস্টিং
নতুন বছরে নতুন প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে আচমকা হাজির হয়ে, বেশ বিতর্কের মুখে পড়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। এই কারণে বিগত কয়েকদিন ধরে বারবার প্রযুক্তিগত খবরে উঠে আসছে ফেসবুকের মালিকানাধীন অ্যাপটির প্রসঙ্গ। তবে এবার যেন আকাশের কালো মেঘের আড়ালে দেখা গেল এক ফালি রোদ! আসলে নানা তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মাল্টি-ডিভাইস সাপোর্ট ফিচারটি (Multi Device Support) সম্পর্কে সম্প্রতি একটি নতুন আপডেট পাওয়া গেছে। যেখানে বলা হয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি পাবলিক টেস্টিংয়ের জন্য উপলব্ধ হতে পারে এই মজাদার এবং সুবিধাজনক ফিচারটি।
মাস ছয়েকেরও বেশি সময় ধরে মাল্টি-ডিভাইস সাপোর্ট ফিচারের ওপর কাজ করছে WhatsApp। ইতিমধ্যে, হোয়াটসঅ্যাপ সম্পর্কিত সমস্ত খবর সরবরাহকারী অনলাইন চ্যানেল WABetaInfo, এই আসন্ন ফিচারটির বিষয়ে একাধিক তথ্যও প্রকাশ করেছে। তবে পোর্টালটি তার সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, এখন হোয়াটসঅ্যাপের অ্যান্ড্রয়েড বিটা ভার্সনে (ভার্সন ২.২১.১.১) একটি রেফারেন্স অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যাতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে শীঘ্রই বিটা প্রোগ্রাম ইউজারদের জন্য মাল্টি-ডিভাইস সাপোর্ট ফিচারটির টেস্টিং লাইভ করতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে WABetaInfo জানিয়েছিল, মাল্টি-ডিভাইস সাপোর্ট উপলব্ধ হওয়ার পর ভয়েস বা ভিডিও কলগুলি কীভাবে কাজ করবে – সেই নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি। সেক্ষেত্রে আশা করা যায়, এই ফিচারটির বিকাশ সম্পন্ন হতে আর বেশি দেরি নেই।
কী এই মাল্টি-ডিভাইস সাপোর্ট ফিচার?
যারা জানেন না তাদের বলে রাখি, মাল্টি-ডিভাইস সাপোর্ট ফিচার উপলব্ধ হওয়ার পর হোয়াটসঅ্যাপ ইউজাররা নিজেদের অ্যাকাউন্টটি একই সাথে দুই বা ততোধিক ডিভাইসে ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ আগামী দিনে ফেসবুকের মতই একাধিক ডিভাইসে লগ ইন করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ।