মানুষ ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম সংস্কৃতির প্রভাবে আসার পর থেকেই, ঘরে ঘরে ওয়াই-ফাই (Wi-Fi) নামক ওয়্যারলেস যন্ত্রটির চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু যেকোনো ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্র কেনা যতটা সোজা, তার থেকেও বহু কঠিন সেটির রক্ষনাবেক্ষন করা। তাই ওয়াই-ফাই রাউটার ঘরে নিয়ে আসার পর, সেটির নিরাপত্তার দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে আমাদের উপরই বর্তায়। এক্ষেত্রে আপনি যদি এই নেটওয়ার্ক প্রদানকারী ডিভাইসকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পারেন বা যত্ন না নেন, তাহলে আপনার এই অসাবধানতা আপনাকে জেল পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। তাই এই প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাকে এমন কয়েকটি টিপস দিতে চলেছি, যেগুলি অনুসরণ করলে আপনার ব্যবহৃত ওয়াই-ফাইটি সুরক্ষিত থাকবে এবং আপনি অযাচিত কোনো ঘটনায় জড়িয়ে পড়বেন না।
কীভাবে নিরাপদ রাখবেন নিজের Wi-Fi কানেকশন?
ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড (WiFi Password) :
কিছু সময় অন্তর অন্তর ওয়াই-ফাই ডিভাইসের পাসওয়ার্ড আপডেট করা উচিত। কেননা অনেক সময় দেখা যায় যে, ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড পরিবর্তন না করার কারণে ইন্টারনেট স্পিড খুবই ধীর হয়ে যাচ্ছে। এর কারণ কোনো পরিচিত ব্যক্তি কখনো যদি আমাদের থেকে ওয়াই-ফাই কানেকশন চান, তবে স্বাভাবিকভাবেই আমরা তা দিয়ে দিই। কিন্তু ওয়াই-ফাই -এর সাথে সেই ব্যক্তির ডিভাইস সংযুক্ত হওয়ার পর, তা পরবর্তীতে ডিসকানেক্ট করা হচ্ছে কিনা সেই খবর কিন্তু আমরা নিই না। ফলে এরকম ব্যক্তিরা কখনো পুনরায় আপনার ওয়াই-ফাই রেঞ্জের মধ্যে প্রবেশ করলে, তার ডিভাইস কানেকশন অটো-কানেক্ট হয়ে যায়। যার দরুন একাধিক ডিভাইসের লোড নিতে না পেরে স্পিড কমে যায়। তাই আপনি যদি সময়ে সময়ে ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে থাকেন, তবে রাউটারের সাথে সংযুক্ত সমস্ত স্মার্টফোন বা ডিভাইস স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিসকানেক্টেড হয়ে যাবে। এছাড়াও ওয়াই-ফাই বিনা পাসওয়ার্ড সহ অ্যাক্টিভ রাখা উচিত নয়। কেননা ওয়াই-ফাই রেঞ্জের মধ্যে থাকা যেকোনো ব্যক্তি তার ডিভাইসকে আপনার এই ওয়্যারলেস ডিভাইসের সাথে কানেক্ট করে নানাবিধ অবৈধ কাজ করতে পারে। যার সম্পূর্ণ দায় চাপবে আপনার ঘাড়ে।
ওয়াই-ফাই আইপি অ্যাড্রেস (Wi-Fi IP Address) :
প্রতিটি ওয়াই-ফাই ডিভাইসের একটি ডেডিকেটেড আইপি অ্যাড্রেস দেওয়া থাকে। আর এই অ্যাড্রেসের মাধ্যমে প্রতিটি ইন্টারনেট সংযোগ গ্রহণকারীকে চিহ্নিত করা হয়। তাই যদি কোনো পরিচিত বা অপরিচিত ব্যক্তি নিজের ফোনকে আপনার ওয়াই-ফাইয়ের সাথে সংযুক্ত করে কোনো প্রকারের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায়, তাহলে তার জন্য আপনি সম্পূর্ণরূপে দায়ী থাকবেন। এমনকি ঘটনার গাম্ভীর্য গুরুতর হলে আপনাকে জেলের ঘানি অবধি টানতে হতে পারে। তাই সবসময় নিজের ওয়াই-ফাই আপডেটেড রাখুন।
ওয়াই-ফাই কানেকশন (Wi-Fi Connection) :
আপনি কি জানেন রাউটারের সেটিংসে গিয়ে ওয়াই-ফাই কানেকশন লিস্ট ও সংযুক্ত মোবাইলের সমস্ত তথ্য চেক করা যায়? যদি না জেনে থাকেন, এবার জেনে নিন। কারণ কিছু সময় অন্তর অন্তর কানেক্টেড ডিভাইসের লিস্ট চেক করতে থাকা উচিত। কেননা কোনো অপরিচিত ডিভাইস যদি আপনার অনুমতি ছাড়াই ওয়াই-ফাই -এর সাথে সংযুক্ত হয়ে থাকে এবং আপনার রাউটারের থেকে কানেকশন নিয়ে সেটি দিয়ে নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করে, তবে সেটিকে অবিলম্বে ডিসকানেক্ট করে দিন। প্রসঙ্গত এখান থেকে আপনি যেকোনো ডিভাইসকে কানেক্টও করাতে পারবেন।