মাইলেজ দিল 98 কিমির বেশি! Yamaha-র কর্মসূচী তাক লাগাল সবাইকে
কম তেল পুড়িয়ে বেশি পথ চলার জন্য ইয়ামাহার (Yamaha) ১২৫ সিসির হাইব্রিড স্কুটারের সুনাম দেশজুড়ে। গ্রাহকদের মধ্যে তাদের হাইব্রিড মডেলের মাইলেজ নিয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে গতকাল এক অ্যাক্টিভিটির আয়োজন করল জাপানি সংস্থাটি। যা দিল্লি এনসিআর অঞ্চলে ইয়ামাহার অনুমোদিত ডিলারশিপে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই কর্মসূচীর পোশাকি নাম "মাইলেজ চ্যালেঞ্জ অ্যাক্টিভিটি"। সংস্থাটির নয়ডা, উত্তর দিল্লি কৃষ্ণনগর, প্রতাপগঞ্জ, এবং জ্যোতি নগরের চার বিপণি যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করেছিল।
১০০ জনের বেশি ইয়ামাহা স্কুটার মালিক যোগ দেয় মাইলেজ চ্যালেঞ্জ অ্যাক্টিভিটিতে। সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিক, উক্ত চার ডিলারশিপের কর্মী এবং গ্রাহকগণ উপস্থিত ছিলেন ওই ইভেন্টে। চ্যালেঞ্জ অ্যাক্টিভিটি শুরু হওয়ার আগেই অংশগ্রহণকারীদের পুরো বিষয়টি সম্পর্কে সবিস্তারে জানানো হয়। কিভাবে চালানোর ফলে স্কুটারের মাইলেজ লক্ষণীয় ভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে তার পাঠ দেওয়া হয় সেদিনের অনুষ্ঠানে।
এরপরই সমস্ত প্রতিযোগীর স্কুটারগুলি সম্পূর্ণভাবে তেল দ্বারা পূর্ণ করা হয়। নির্দিষ্ট করা যাত্রাপথের মধ্যে শহরাঞ্চলের রাস্তা, ট্রাফিক ও খোলা রাস্তা সমস্ত জায়গাতেই স্কুটার চালানোর রুট স্থির করে দেওয়া হয়। ইয়ামাহার যুক্তি, এর ফলে অংশগ্রহণকারীরা যেমন সেই স্কুটারের সাসপেনশন সম্পর্কে ধারণা পাবেন তেমনই শুরুতে গাড়ির গতিবেগ কিংবা ব্রেকিং সিস্টেম অথবা অ্যাক্সিলারেশন সম্পর্কে বিশদে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন।
সমগ্র যাত্রাপথে চালানো শেষে আবার শুরুর স্থানে ফিরে আসার পর পুনরায় স্কুটারগুলিকে আগের উচ্চতা পর্যন্ত তেল দ্বারা পূর্ণ করা হয়। আর এভাবেই খরচ হওয়া জ্বালানির হিসাব থেকে মাইলেজ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। অ্যাক্টিভিটিতে পালভিন্দার কাউর লিটার প্রতি ৯৮.১৮ কিমি সর্বোচ্চ মাইলেজ নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। দ্বিতীয় স্থান পান নওয়াজ মোস্তফা। তার স্কুটারটি এক লিটার পেট্রোলে ৯৫ কিমি পথ পাড়ি দিতে পেরেছে। তারপর ৯১.৩০ কিমি/লিটার মাইলেজ নিয়ে তৃতীয় স্থানাধিকারী অনুপম মিত্তাল।
ইয়ামাহা মাইলেজ চ্যালেঞ্জ অ্যাক্টিভিটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সমস্ত স্কুটারগুলিকে বিনামূল্যে জল দিয়ে ওয়াশ করার ব্যবস্থা করা হয় সংস্থার তরফে। তাছাড়াও স্কুটারগুলির ১০ পয়েন্ট ইন্সপেকশনের ব্যবস্থাও করা হয়। সর্বোচ্চ মাইলেজ অর্জন করার স্বীকৃতি হিসাবে প্রথম পাঁচজনকে ট্রফি, গিফট কার্ড ও শংসাপত্র দেওয়া হয় ইয়ামাহার তরফে।