বাইকে গাড়ির ইঞ্জিন! Scorpio-র দ্বিগুণ দামে দু’চাকার দানব লঞ্চ করে তাক লাগাল BMW

Avatar

Published on:

BMW R18 Transcontinental launched

ভারতের মাটিতে এবার BMW Motorrad লঞ্চ করে দিল তাদের দৈত্যাকার R18 Transcontinental ক্রুজার। এই নিয়ে এদেশে R18 সিরিজের তৃতীয় বাইক এটি। এর আগে লঞ্চ করা মডেল দুটি হল- R18 এবং R18 Classic। সুপারবাইক সেগমেন্টের অন্তর্গত এই নতুন ক্রুজার বাইকটির এক্স শোরুম মূল্য ৩১.৫০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যেই ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা এই সংস্থার শোরুম থেকে R18 Transcontinental এর বুকিং চালু করে দিয়েছে সংস্থা।

বিএমডব্লিউ মোটোরাডের তৈরি এই সুপার বাইকটিতে ব্যবহৃত হয়েছে দুটি সিলিন্ডার যুক্ত ১৮০২ সিসির ফ্ল্যাট টুইন ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনটিতে এয়ার এবং অয়েল কুলিং সিস্টেম দেওয়া হয়েছে। ৪,৭৫০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ৮৯ বিএইচপি শক্তি এবং ৩,০০০ আরপিএম গতিতে সর্বাধিক ১৫৮ এনএম টর্ক উৎপাদিত হয় এই ইঞ্জিনটি থেকে।

এমনকি ২০০০-৩০০০ আরপিএমের মধ্যেই সর্বাধিক ১৫০ এনএম টর্ক উৎপন্ন করার ক্ষমতা রাখে এই ইঞ্জিনটি। শাফট ড্রাইভ প্রযুক্তির মাধ্যমে সিক্স স্পিড গিয়ার বক্স এর সাহায্যে পিছনের চাকায় সমস্ত টর্ক পৌঁছানো হয়। উপরন্তু পিছনের চাকা যাতে কোনো পরিস্থিতিতেই উপরে উঠে না আসে সেই কারণে অ্যান্টি হপিং ক্লাচ ব্যবহার করা হয়েছে এতে। সাথে অপশনাল হিসেবে পাওয়া যাবে রিভার্স গিয়ার সিস্টেম।

R18 Transcontinental বাইকটিতে রয়েছে মোট তিন ধরনের রাইডিং মোড- রেইন, রোল এবং রক। রেইন মোডে বাইকটির থ্রটেল থেকে আসা রেসপন্স অনেকটাই কম থাকে এবং এর সেফটি ফিচারগুলি তখন অনেক বেশি সচল অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এরপরেই যখন রোল মোডে বাইকটি চালানো হয় তখন হাতের এক্সিলেটর থেকে পর্যাপ্ত উদ্দীপনা দিয়ে পৌঁছায় এর ইঞ্জিনে এবং তার সাথেই এর সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলি সঠিক ভাবে কাজ করে। যদিও রক মোডে কিন্তু বাইকটির গতি বৃদ্ধি করার ক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যায় এবং তার সাথেই অটোমেটিক স্টেবিলিটি কন্ট্রোল খানিকটা কম প্রযুক্ত হয়।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো বিএমডব্লিউ মোটোরাডের এই বাইকে রাইডারের সুরক্ষার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বসহকারে দেখা হয়েছে। সেই কারণেই অ্যাক্টিভ ক্রুজ কন্ট্রোল, ট্রাকশন কন্ট্রোল, অটোমেটিক স্টেবিলিটি কন্ট্রোল, ডায়নামিক ইঞ্জিন ব্রেক কন্ট্রোল, হিল স্টার্ট কন্ট্রোল, কি-লেস রাইড, ইলেকট্রনিক ক্রুজ কন্ট্রোল এবং অ্যাডাপ্টিভ লাইট ইত্যাদি ফিচারগুলি এতে উপলব্ধ রয়েছে।

ব্রেকিং সিস্টেম হিসেবে সামনের চাকায় টুইন ডিস্ক ব্রেক থাকলেও পেছনে রয়েছে সিঙ্গেল ডিস্ক ব্রেক। এটি পিছনের চাকায় চারটি পিস্টনের সাহায্যে স্থায়ী ক্যালিপারের সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন ধরনের ফ্লুইড সমেত R18 Transcontinental এর মোট ওজন ৪২৭ কেজি, যা আক্ষরিক অর্থেই অনেকটাই বেশি। বাইকটিতে রয়েছে ২৪ লিটারের ফুয়েল ট্যাংক। এরমধ্যে রিজার্ভ হিসাবে থাকবে ৪ লিটার পেট্রোল।

বিএমডব্লিউ মোটোরাডের ভারতীয় শাখার প্রেসিডেন্ট বিক্রম পাওয়া এই বিষয়ে বলেন, “R18 Transcontinental বাইকটি লঞ্চ করার মাধ্যমে বিলাসবহুল ট্যুরিং সেগমেন্টে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করল বিএমডব্লিউ মোটোরাড। R18 পরিবারের অন্তর্গত এই মডেলটি আদতে সংস্থার অসামান্য ডিজাইন, বৃহদাকার ইঞ্জিন, বিশ্বমানের প্রযুক্তি এই সবকিছুর ঐতিহ্যকেই আরও সুপ্রতিষ্ঠিত করল।

তিনি যোগ করেন, এই বাইকটির অসামান্য লুক এবং রাইডিং এক্সপেরিয়েন্স যেকোনো রাইডারকেই দীর্ঘ পথ ক্লান্তিহীনভাবে শক্তিশালী দুই চাকার বাহনের উপর অতিক্রম করতে সাহায্য করবে। যে সকল বাইকপ্রেমী দীর্ঘ রাস্তা ক্রুজ করার অবিস্মরণীয় মুহূর্ত নিয়ে বাঁচতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই বাইকটি এক আলাদা রকমের আকর্ষণ তৈরি করতে সমর্থ।”

সঙ্গে থাকুন ➥