এই গাড়ি চার্জ দিতে হয় না! হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল চালিত বিশ্বের প্রথম ইলেকট্রিক থ্রি-হুইলার নিয়ে এল Biliti Electric

Avatar

Published on:

পরিবেশবান্ধব বিকল্প জ্বালানির যানবাহন নিয়ে আসার ক্ষেত্রে নজির গড়লো ক্যালিফোর্নিয়ার সংস্থা বিলিতি ইলেকট্রিক (Biliti Electric)। বিশ্বের প্রথম হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল (HFC) চালিত ইলেকট্রিক থ্রি-হুইলার উন্মোচিত করেছে তারা। FastMile নামক সেই তিন চাকার গাড়িটি ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তৈরি। ফলে এতে ফিউচারিস্টিক ডিজাইন রয়েছে। ১৩০ কিলোমিটার রেঞ্জ দেবে বলে দাবি সংস্থার। আবার FastMile-এ জ্বালানি ভরতে তিন মিনিটেরও কম সময় লাগবে।

FastMile এর গ্রেডেবিলিটি অর্থাৎ উঁচুতে চড়ার ক্ষমতা ২০ ডিগ্রি থাকায় সহজেই খাড়া রাস্তা অথবা উড়ালপুলে উঠতে পারবে। ওজন বহনের ক্ষমতা ৬৮০ কেজি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল পরীক্ষা চলাকালীন ৬,০০০ মাইল বা প্রায় ৯,৬৫৬ কিমি দুর্গম রাস্তায় ইলেকট্রিক টুকটুকটির ট্রায়াল চালানো হয়েছে। এর আগে স্টেশনারি অথবা ওয়্যারহাউসে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলের চিরাচরিত ব্যবহার দেখা গেলেও, এবার বিলিতির বৈদ্যুতিক তিন চাকার গাড়িতে তার প্রয়োগ লক্ষ্য করা যাবে। এই প্রসঙ্গে সংস্থার সিইও রাহুল গায়াম বলেন, “বিশ্ববাজারে হাইড্রোজেন শক্তি এবং ফুয়েল সেল হিসেবে ব্যবহারের এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ।”

হালে পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক তিন চাকার গাড়ি বা সহজ ভাবে বললে টোটো-র ব্যবহার তাৎপর্যপূর্ণ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে পরিবহণের খরচ যেমন কম, পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের কোনো বালাই নেই। ঘন জনবসতিপূর্ণ শহরতলির রাস্তায় এগুলি চালানো খুবই সহজ। যে কারণে এই জাতীয় গাড়ির চাহিদা দিনকে দিন বাড়ছে। তবে একটি ফুয়েল সেল ইলেকট্রিক ভেহিকেল বা (FCEV)-এর সাথে ব্যাটারি ইলেকট্রিক ভেহিকেল (BEV)-র গঠন ও বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে বেশ পার্থক্য রয়েছে। যেমন বিইভি-তে একটি বড় ইলেকট্রিক ব্যাটারি থাকে, যেখানে এফসিইভি-তে উপস্থিত হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল পথ চলার প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেই উৎপাদন করে।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববাজারে তিন চাকার গাড়িতে জ্বালানি ভরানোর জন্য প্রতি বছর ৪০ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩,১৯,৩২৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়। যেখানে মাত্র ৭ ডলার প্রতি কেজি (প্রায় ৫৫৮) টাকা খরচ করলেই হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল গাড়িতে জ্বালানি ভরানো যায়। মাইলেজের দিক থেকে এই ধরনের তিন চাকা প্রচুর সাশ্রয়ী।  আবার গ্রে হাইড্রোজেনে উৎপাদন খরচ বর্তমানে কেজিতে ২ ডলার (আনুমানিক১৫৯ টাকা)। তবে পরিবহণ ক্ষেত্রে ব্যবহার বাড়ায় গ্রীন হাইড্রোজেনের (Green Hydrogen)-এর দাম ২০৩০-এর মধ্যে কেজিতে এক ডলারে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সঙ্গে থাকুন ➛