স্মৃতি উস্কে Bajaj Caliber নতুন রূপে ফিরছে, থাকবে আধুনিকতার ছোঁয়া
নব্বইয়ের দশক এবং একবিংশের গোড়ায় ভারতে বাজাজ (Bajaj) এবং কাওয়াসাকি (Kawasaki) যৌথভাবে মোটরসাইকেল তৈরি ও বিপণন করতো। বাজাজ এবং কাওয়াসাকির এই জয়েন্ট ভেঞ্চার নানা এন্ট্রি লেভেল কমিউটার মোটরসাইকেলের জন্ম দিয়েছিল। জাপানি প্রযুক্তি এবং ভারতীয় কারিগরির ছোঁয়াতে সেগুলি হয়ে উঠেছিল বেশ জনপ্রিয়৷ নির্দিষ্টভাবে বললে ক্যালিবার (Caliber) নব্বইয়ের দশকের শেষে বাজাজ-কাওয়াসাকির লঞ্চ করা এই এন্ট্রি লেভেল কমিউটার মোটরসাইকেল সদ্য কলেজে পা দেওয়া পড়ুয়া কিংবা নতুন চাকরি পাওয়া তরুণের ড্রিম বাইক ছিল। তবে সময়ের কালচক্রে নতুনের আগমনে পুরনো জিনিসের বিদায় নেওয়া অলিখিত বাস্তব। ক্যালিবারও সেই পরিণতির সম্মুখীন হয়। ২০০৬ সালে মোটরসাইকেল মার্কেটকে চিরতরে বিদায় জানায় বাজাজ-কাওয়াসাকি ক্যালিবার।
দীর্ঘ ১৫ বসন্ত কাটিয়ে ক্যালিবার আবার খবরের শিরোনামে। কারণ, 'Caliber' নামের সত্ব নিজেদের কাছে রাখার জন্য বাজাজ অটো সম্প্রতি ট্রেডমার্ক ফাইল করেছে। যার ফলে জল্পনা হয়েছে তীব্র৷ একেবারে খোলনলচে বদলে এন্ট্রি লেভেল কমিউটার মোটরসাইকেল মার্কেটে প্রত্যাবর্তন করতে পারে বাজাজ ক্যালিবার!
ট্রেডমার্ক অ্যাপ্লিকেশন থেকে জানা গেছে, 'ক্যালিবার' নেমপ্লেট ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিন অথবা ইলেকট্রিক মোটরে চালিত টু-হুইলারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। তবে ব্যাটারি চালিত মোটরসাইকেল হিসেবে ক্যালিবারকে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সুতরাং, ক্যালিবার মোটরসাইকেলের নতুন ভার্সনের জন্য আলাদাভাবে ইঞ্জিন তৈরি না করে বাজাজ এতে প্লাটিনা ১১০-এর ১১৫ সিসি কিংবা পালসার ১২৫-এর ১২৫ সিসি ইঞ্জিন দিতে পারে। তবে নতুন প্রজন্মের ক্যালিবারে ১২৫ সিসি-র ইঞ্জিন ব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
Bajaj Kawasaki Caliber স্পেসিফিকেশন
ক্যালিবার ১১৫ (Caliber 115) আসলে বাজাজের ৪এস (4S) মোটরসাইকেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল। বাজাজ এবং কাওয়াসাকি যৌথ উদ্যোগে বাইকটির ১১১.৬ সিসি এয়ার-কুল্ড ইঞ্জিন ডেভেলপ করেছিল। যার আউটপুট ছিল ৯.৫ বিএইচপি ও ৯.১০ এনএম।
ক্যালিবার ১১৫ সর্বোচ্চ ১০২ কিমি/ঘন্টা গতি তুলতে সক্ষম ছিল, সেই সময় কমিউটার বাইকে যা অভাবনীয় ছিল। মাইলেজও দিত দুর্দান্ত! ডিজাইন ছিল পরিপাটি। ফুয়েল ট্যাঙ্ক এবং ফেন্ডার কিছু বেসিক স্টিকার গ্রাফিক্সে সাজানো হয়েছিল।
আধুনিক অবতারে বাজাজ ক্যালিবার কী চমক দেবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।