প্রতিদিন গাড়ি, বাইক নিয়ে বেরোতে হয়? এই ছোট্ট যন্ত্র চুরি-জালিয়াতি-দুর্ঘটনা থেকে রাখবে সেফ

By :  SUMAN
Update: 2024-06-02 08:14 GMT

সময়ের সাথে প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীলতা বাড়েই চলেছে। যানবাহনের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই। রাস্তায় বেরিয়ে বিভিন্ন মুহূর্ত রেকর্ড করে রাখতে ভিডিও ক্যামেরার ব্যবহার বেড়েছে। স্মার্টফোন থেকে যা অতি সহজেই করা যায়। কিন্তু সে ক্ষেত্রে হয় চালক বা অন্য কারোর প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ড্যাশক্যাম মুশকিল আসান করতে পারে। গাড়ির ড্যাশবোর্ড অথবা বাইকের উইন্ডশিল্ডের সাথে একবার লাগিয়ে নিলেই হল। ইদানিং বহু ভারতীয় এই ড্যাশক্যাম ব্যবহার করে ভিডিও বানাচ্ছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে আদতে কে অপরাধী, তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ হিসেবে রেকর্ডিং থেকে যাচ্ছে এতে। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক সুবিধা। চলুন ড্যাশক্যাম ব্যবহারের ৫টি সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

দুর্ঘটনার প্রমাণ

দুর্ভাগ্যজনকভাবে গাড়ি বা বাইক চালানোর সময় যদি দুর্ঘটনা ঘটে, তার সম্পূর্ণ রেকর্ডিং থাকে ড্যাশক্যামে। সে ক্ষেত্রে ঘটনার সত্যতা যাচাই করার হয়ে যায় সহজ। আপনি যে নির্দোষ সেটি প্রমাণ করা হয়ে যায় বাঁ হাতের খেল। কয়েকটি ড্যাশক্যাম মডেলে বাড়তি ফিচার্স হিসেবে রয়েছে জিপিএস ট্র্যাকিং। এক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটার সময় গাড়ির গতিবেগ কত ছিল তা জানা যায়।

জালিয়াতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা

ভারতে গাড়ির বীমাজনিত বিভিন্ন প্রতারণা আজ অতি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু ড্যাশক্যাম থাকলে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ রেকর্ড করা থাকবে। আবার যারা ফল্স ক্লেম করে থাকেন, তাদের ভুল ধরানোর জন্যও এই ইলেকট্রনিক গ্যাজেটটির জুড়ি মেলা ভার।

পার্কিং নিরাপত্তা

বহু ড্যাশক্যামে আবার পার্কিং মোড রয়েছে। যা ইঞ্জিন অফ থাকা সত্ত্বেও পার্ক থাকার সময় রেকর্ডিং চালিয়ে যায়। ফলস্বরূপ গাড়ি চুরি হলেও তা খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

রোড ট্রিপ ক্যাপচার

ড্যাশক্যাম যে কেবলমাত্র দুর্ঘটনা ও নিরাপত্তার জন্যই উপযোগী তা নয়। কোনও লং ট্রিপের স্মৃতি রেখে দেওয়ার জন্যও এটি বিশেষ কার্যকর। কিছু ড্যাশক্যামে রয়েছে উচ্চমানের ক্যামেরা। যা দিয়ে সুন্দর ছবি ওঠে।

পুলিশের দুর্ব্যবহার ঠেকানো

যদি কখনো পুলিশের দুর্ব্যবহার অথবা দুর্নীতি সাক্ষী থাকেন সেক্ষেত্রে ড্যাশক্যাম বিশেষভাবে সহায়তা করবে। যাবতীয় রেকর্ডিং তা রেখে আইনের সামনে পেশ করা যাবে। ফলে নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করা হবে সহজ।

Tags:    

Similar News