Activa-র ইলেকট্রিক ভার্সন লঞ্চ করে বৈদ্যুতিক স্কুটারের জগতে পা রাখছে হোন্ডা? জল্পনা তুঙ্গে
ভারতবর্ষ সহ বিশ্ব মানচিত্রে মোটরসাইকেলের ইতিহাসে বিস্ময়কর অবদান সৃষ্টি করেছে হোন্ডা (Honda)। একের পর এক রিফাইন্ড ইঞ্জিন যুক্ত মোটর বাইক ও স্কুটার লঞ্চ করেছে চলেছে তারা। তবে এই মুহূর্তের আলোচনার কেন্দ্রে থাকা ইলেকট্রিক টু-হুইলার এর জগতে এখনো পর্যন্ত পদার্পণ করেনি তারা। যদিও সে ব্যাপারে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত কাজকর্ম সেরে ফেলেছে জাপানের এই বাইক নির্মাতা। হোন্ডার ভারতীয় শাখা অর্থাৎ হোন্ডা মোটরসাইকেল এন্ড স্কুটার ইন্ডিয়া (HMSI)। আগামী ২০২৩-এর শুরুতেই এদেশে আনতে চলেছে তাদের প্রথম ব্যাটারি চালিত স্কুটার।
এই মুহূর্তে ইলেকট্রিক ভেইকেলের দুনিয়ায় ভারতবর্ষ যথেষ্ট সম্ভাবনাময় একটি বাজার। এই ব্যবসায়িক ক্ষেত্র দখলের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বৈদ্যুতিক গাড়ি ও বাইক নির্মাতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চরমে। টিভিএস, বাজাজ সহ একগুচ্ছ ভারতীয় সংস্থার হাতেই রয়েছে অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক স্কুটার। তাই স্বাভাবিকভাবেই হোন্ডার তৈরি এই ইলেকট্রিক স্কুটার প্রবল ভাবে টিভিএস আইকিউব ও বাজাজ চেতকের প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হবে তা হলফ করেই বলা যায়।
সূত্রের খবর, হোন্ডার তৈরি এই বৈদ্যুতিক স্কুটারটি তাদের এদেশে থাকা সবচেয়ে জনপ্রিয় মডেল অ্যাক্টিভা-এর ছত্রছায়াতেই হাজির হবে। এই মুহূর্তে জাপানের বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে এই প্রকল্পেহ কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি দল গঠন করতে চাইছে তারা। বিশেষজ্ঞদের দ্বারা নির্মিত এই দল ভারতীয়দের চাহিদা মত বৈদ্যুতিক প্ল্যাটফর্মের উপর নির্মিত দ্বিচক্রযান আনার ব্যাপারে সাহায্য করবে হোন্ডাকে।
এর পাশাপাশি আগামীতে ভারতের বাজারে তাদের এই নতুন প্রোডাক্টের ডিলারশিপ নেটওয়ার্ক ও লঞ্চের ব্যাপারে নানা রকম অনুসন্ধান ও আলাপ আলোচনা সেরে ফেলতে চাইছে তারা। যে কারণেই এই নতুন মডেলটি ভারতীয় উপমহাদেশের আবহাওয়ার প্রকৃতি অনুযায়ী অনেক বেশি বাস্তবসম্মত ডিজাইন ও প্রযুক্তি নিয়ে হাজির হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এদেশে অনুসন্ধান চালিয়ে তারা জানতে পেরেছে ২০১৭ থেকে ২০২৫ এর মধ্যে ভারতবর্ষের ইভি মার্কেট প্রায় ৭৭% পর্যন্ত বর্ধিত হবে। তাছাড়াও বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে দুই চাকার বিক্রি এই মুহূর্তে সর্বাধিক এবং আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তা এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে যাবে।
প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই ইতালিতে শেষ হওয়া মোটরবাইক শো EICMA-তে হোন্ডা তাদের নতুন বৈদ্যুতিক স্কুটার EM1 e এর ঝলক দেখিয়েছে। এটি বর্তমানে ইউরোপের বাজারেই বিক্রির পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। এই স্কুটারটিতে বদলযোগ্য ব্যাটারির প্রযুক্তি দেওয়া হয়েছে। একবার চার্জে এটি ৬০ কিমি পথ চলতে সক্ষম। স্কুটারটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিমি। যে সকল ব্যক্তি শহরাঞ্চলের রাস্তায় অল্প দূরত্ব অতিক্রম করার জন্য হালকা ওজন ও কম্প্যাক্ট ডিজাইনের স্কুটার পছন্দ করেন তাদের জন্য এই নতুন ইলেকট্রিক স্কুটারটি উপযুক্ত। ভারতে এটি লঞ্চ হবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত করেনি সংস্থা।