হিরো হোন্ডার আমলে ছিল না, 20 বছর বাদে যে সব ফিচার্স নিয়ে নবরূপে লঞ্চ হবে Karizma
২০০৩-এ বাজারে প্রথমবার পা রাখার পর Hero Honda Karizma রাতারাতি অসংখ্য ক্রেতার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিল। ২২৩ সিসি ৪-স্ট্রোক ইঞ্জিন থেকে সেসময় ৭,০০০ আরপিএম গতিতে ১৭.২ এইচপি শক্তি এবং ৬,০০০ আরপিএম গতিতে ১৮.৩৩ এনএম টর্ক উৎপন্ন হতো। ওইসময়ে এই আউটপুট বাইকপ্রেমীদের কাছে বিস্ময়কর থাকলেও, এখনকার দিনে এটি খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথম লঞ্চের পর ২০০৭-এ বাইকটির আপগ্রেড ভার্সনটি Karizma R নামে হাজির করা হয়। পরবর্তীতে হিরো হোন্ডার জয়েন্ট ভেঞ্চার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর Karizma ZMR নামক মডেলটি লঞ্চ করে হিরো। কিন্তু সেটির চরম সাফল্যের হদিশ পাওয়া আর হয়ে ওঠেনি। অবশেষে বাইকটির বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এবারে Karizma মডেলটি নতুন রূপে ফিরিয়ে আনতে চলেছে হিরো মোটোকর্প (Hero MotoCorp)। যার একাধিক ছবি এবং ভিডিও সম্প্রতি অনলাইনে ফাঁস হয়েছে। তবে সেটি কবে বাজারে লঞ্চ হবে সে সম্পর্কে এখনও সংস্থার তরফে কোন বার্তা এসে পৌঁছায়নি। নতুন মডেলটিতে ছয়টি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের দেখা মিলবে। কী সেই বৈশিষ্ট্য আসুন দেখে নেওয়া যাক।
ডুয়েল চ্যানেল এবিএস
হিরো সম্পূর্ণ নতুন Karizma আনতে চলেছে। মনে করা হচ্ছে এটি সংস্থার ফ্ল্যাগশিপ মডেল হিসেবে আসবে। যাতে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস দেওয়া হতে পারে। ২০০৩ সালের ২৭৬ মিমি ফ্রন্ট ডিস্ক এবং ১৩০ মিমি রিয়ার ড্রাম ব্রেক সিস্টেমের চাইতে এটি অনেকটাই অত্যাধুনিক বলা যায়।
এলইডি লাইটিং
ফ্ল্যাগশিপ মডেল হিসেবে নতুন কারিজমা এলইডি লাইটিং ফিচার সমেত হাজির হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে রাতের রাস্তায় দিনের আলোর সমান স্বচ্ছতা মিলবে। বলাই বাহুল্য হ্যালোজেন লাইটের চাইতে এলইডি ইউনিটের তীব্রতা অনেকাংশেই বেশি। যা বাইকটির পুরনো মডেলের ছিল।
ট্রাকশন কন্ট্রোল
হঠাৎ অ্যাক্সেলারেশন বাড়ানো হলে ট্রাকশন কন্ট্রোল সিস্টেমটি কার্যকর হয়ে ওঠে। টাকশনের ঘাটতি দেখা দিলেই এটি সক্রিয় হয়ে দায়িত্ব পালন করে। সে সময় ইঞ্জিনের শক্তি কমিয়ে চাকায় সঞ্চারিত করে এটি। নতুন বাইকটি এই ব্যবস্থা সমেত হাজির হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে আগের চাইতে এতে সুরক্ষা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।
ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি
মোটরসাইকেলটি যেহেতু আধুনিকতার স্পর্শে হাজির হতে চলেছে, তাই ব্লুটুথ কানেক্টিভিটির মতো ফিচার এতে দেওয়া হতে পারে বলেই অনুমান। বর্তমান দিনে এটি অতি সাধারণ বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে। যা রাইডিংয়ের সময়তেও বিভিন্ন নোটিফিকেশন পেতে সাহায্য করে।
ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার
Karizma-র নয়া মডেলটি নতুন ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার সহ হাজির হবে। যা এর ২০০৩ মডেলে অনুপস্থিত ছিল। নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত হওয়ার ফলে চালক বিভিন্ন তথ্য পাবেন। যেমন নেভিগেশন, গতিবেগ, কতক্ষণ ধরে চলছে ইত্যাদি তথ্য।
বিভিন্ন রাইডিং মোড
আকর্ষণীয় ফিচার হিসাবে মোটরসাইকেলটিতে একাধিক রাইডিং মোডের দেখা মিলতে পারে। ফ্ল্যাগশিপ মডেল হওয়ার কারণে এমন ফিচার পাওয়ার সম্ভাবনা অতি প্রবল। এতে নিত্যদিন চলাফেরার জন্য রোড মোড এবং বেশি শক্তি উৎপাদনের জন্য স্পোর্টস মোডের দেখা মিলতে পারে।