এক চার্জে গান শোনা যাবে 50 ঘন্টা, পাবেন বিশুদ্ধ শ্বাসবায়ুও! পুজোর মুখে লঞ্চ হল আজব Headphone
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার তৈরির জন্য জনপ্রিয় কোম্পানি Dyson গতকাল তাদের প্রথম অডিও ডিভাইস হিসেবে ভারতে Dyson Zone হেডফোন লঞ্চ করেছে। এই নতুন হেডফোনটি অত্যন্ত বিশেষ, কারণ এতে দুদিনের বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ, অ্যাক্টিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশন, ওভার-দ্য-ইয়ার ডিজাইন ইত্যাদি নজরকাড়া ফিচার দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এটি ইউজারের জন্য এয়ার পিউরিফায়ার হিসেবেও কাজ করবে – কোম্পানি, নতুন ব্লুটুথ হেডফোনে মাইক্রো কম্প্রেসার এবং বায়ুশোধক ফিল্টার দিয়েছে। এটিকে MyDyson অ্যাপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণও করা যাবে। তাই উৎসবের মরসুমে আপনার যদি অত্যাধুনিক গ্যাজেট তথা প্রিমিয়াম হেডফোন কেনার থাকে, তাহলে আপনি Dyson Zone হেডফোন বেছে নিতে পারেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই জিনিসটি একেবারে আনকোরা বা ব্র্যান্ড-নিউ নয়! এই বছরের এপ্রিলে ভারতের বাইরে নির্বাচিত বাজারে এটিকে লঞ্চ করা হয়েছিল। আসুন, এখন এই Dyson Zone Headphone-এর দাম, লভ্যতা এবং সম্পূর্ণ স্পেসিফিকেশন এক নজরে দেখে নিই।
Dyson Zone Headphone-এর মূল্য, উপলভ্যতা
ভারতে ডাইসন জোন হেডফোনের দাম রাখা হয়েছে ৫৯,৯০০ টাকা। তবে অতিরিক্ত এয়ার ফিল্টার এবং একাধিক পোর্ট চার্জার বিশিষ্ট জোন অ্যাবসলুট+ ভ্যারিয়েন্টটির দাম পড়বে ৬৪,৯০০ টাকা। এগুলি আজ থেকে কোম্পানির ওয়েবসাইটে কেনার জন্য উপলব্ধ হবে।
Dyson Zone Headphone-এর স্পেসিফিকেশন
নতুন ডাইসন জোন হেডফোনে অ্যাক্টিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশন (ANC) ফিচার রয়েছে যা ব্যাকগ্রাউন্ড এবং অ্যাম্বিয়েন্ট নয়েজ কমায়। এক্ষেত্রে এতে আইসোলেশন, কনভার্সন এবং ট্রান্সপারেন্সি – মোট তিনটি এএনসি ফিচার মিলবে। সাথে থাকবে আটটি এএনসি মাইক্রোফোন। আবার টেলিফোনি এবং ট্রান্সপারেন্ট সিস্টেমের জন্য হেডফোনটি দুটি অতিরিক্ত মাইক্রোফোন প্যাক করবে। এছাড়াও এটি বহন করবে ৪০ মিমি নিওডিয়ামিয়াম স্পিকার ড্রাইভার। আবার এই অডিও প্রোডাক্টে অটোমেটিক অন/অফ সেন্সরও রয়েছে, যাতে করে ব্যবহার না হলে এর শক্তি বা চার্জ সঞ্চয় হবে। এক্ষেত্রে ওভার-দ্য-ইয়ার তথা এর্গোনোমিক (ergonomic) ডিজাইন থাকায়, এটিকে কানে রাখতে অসুবিধা হবেনা।
এতো গেল সাধারণ ফিচারের কথা। অডিও ফিচার ছাড়াও, নতুন ডিভাইসটি ইউজারের নাক এবং মুখের মধ্যে বিশুদ্ধ বায়ুপ্রবাহ পাঠিয়ে শ্বাস নিতে সহায়তা করবে; কোম্পানির মতে এর ফিল্টার সিস্টেম ৯৯ শতাংশ বাতাসের দূষণ কমাতে সক্ষম। আসলে ডাইসন জোন হেডফোনের ইয়ারকাপগুলি আলাদা এয়ার পিউরিফায়ার দিয়ে সজ্জিত এবং এতে দুটি মোটর রয়েছে যা শহরের ধোঁয়াশা এবং গ্যাসগুলিকে সরিয়ে বিশুদ্ধ বাতাস সরবরাহ করে। এই মোটরে চারটি বায়ু পরিশোধন মোডও রয়েছে – লো, মিডিয়াম, হাই এবং অটো। হেডফোনটি রিমুভেবল ফেস ভিসারের সাথেও আসে।
জানিয়ে রাখি, এর ড্রাইভার এবং এএনসি চালু থাকলে ডাইসন জোন হেডফোন ৫০ ঘন্টা পর্যন্ত প্লেব্যাক টাইম অফার করবে, যেখানে এয়ার পিউরিফায়ার ফিল্টার ব্যবহারে মিলবে ৪ ঘন্টা ব্যাকআপ। এটি কোম্পানির অ্যাপের মাধ্যমে আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে কন্ট্রোল করা যাবে।