iQOO 13 Launch Date: রাত পোহালেই লঞ্চ, ব্যর্থতা ঢেকে স্মার্টফোন জগতের নতুন সুপারস্টার কি এবার এই ব্র্যান্ড
iQOO 13 Launch Date - সামনে ৩২ মেগাপিক্সেল সিঙ্গেল ও পিছনে ৫০ মেগাপিক্সেল ট্রিপল ক্যামেরা অবস্থান করছে। আর মাত্র একটা রাতের অপেক্ষা। চীনে আইকো ১৩ লঞ্চ হবে আগামীকাল।
বাজেট এবং মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোনের জন্যই বেশি পরিচিত আইকো (iQOO)। ভিভোর এই সাব ব্র্যান্ড ফ্ল্যাগশিপ বিভাগে এখনও সেভাবে নজর কাড়তে পারেনি। আসলে যে সেগমেন্টে স্যামসাং, অ্যাপলের মতো টেক জায়ান্টদের অত্যাধুনিক মডেল উপলব্ধ, সেখানে আইকো-কে নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে উন্মাদনা না জাগাটাই স্বাভাবিক। তবে iQOO 13-এর-এর আগমনে অনেকদিনের সেই চেনা ছবিটা সামান্য হলেও বদলে যেতে পারে। স্লিম বডি, লার্জ ব্যাটারি, এবং সুপারফাস্ট চার্জিং সহ নানা নজরকাড়া ফিচার্সের প্রেক্ষিতে লঞ্চের আগেই প্রযুক্তি দুনিয়ায় শোরগোল ফেলে দিয়েছে এই ফোন।
iQOO 13 কী কী বিশেষত্ব অফার করবে
ব্যাটারির ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে ফোনের মোটা হওয়ার সম্পর্ক সামানুপাতিক। ব্যাটারি যত শক্তিশালী হবে, অভ্যন্তরে বেশি জায়গা দখল করার জন্য ফোনকেও বাধ্য হয়ে স্লিম হওয়ার বাসনা ছাড়তে হবে। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হল, ৬,১৫০ এমএএইচ ব্যাটারি থাকা সত্ত্বেও ৭.৯৯ মিমি পাতলা আইকো ১৩। সংস্থার দাবি, ব্যাটারিতে তৃতীয় প্রজন্মের উন্নত সিলিকন অ্যানোড উপাদান ব্যবহার করে স্লিম ও হালকা চেহারা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে তারা।
পূর্বসূরী মডেলের তুলনায় ব্যাটারির ক্ষমতা ১৩ শতাংশ বাড়িয়েছে আইকো। আরেকটি বিশেষত্ব হল, অত্যন্ত ঠান্ডা পরিবেশেও ব্যাটারি লাইফে বেশি প্রভাব পড়বে না। এ ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক আধা-কঠিন কম-তাপমাত্রার ব্যাটারি প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে ভিভোর সহযোগী সংস্থাটি। হাই-ডেফিনিশন ভিডিয়ো দেখা বা গেম খেলার সময় চার্জ তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যাওয়াটাই দস্তুর। তবে পাওয়ার ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে সুন্দর কাজের দাবি রাখছে কোম্পানি।
আইকো ১৩ একটি উদ্ভাবনী উচ্চক্ষমতার ক্যাশে আর্কিটেকচার ব্যবহার করছে। এটি স্মার্টফোনের সিপিইউ-এর অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। যার প্রভাবে পাওয়ার অপ্টিমাইজেশনের পাশাপাশি ব্যাটারির আয়ু বৃদ্ধি পায়। ১২০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট থাকার ফলে ব্যাটারি চার্জ করতে বেশি সময় লাগবে না। এছাড়া, ফোনের স্ক্রিনেও থাকছে বড় চমক। আজকাল ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে ডুবে থাকতে অভ্যস্ত আমরা। আর এই স্ক্রিন থেকে বিচ্ছুরিত আলোর জন্য প্রচুর মানুষ চোখের অসুখে ভুগছে। এই সমস্যা থেকে প্রতিকারের জন্য আইকো ১৩ "সার্কুলার পোলারাইজড লাইট আই প্রোটেকশন" প্রযুক্তির ব্যবহারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে।
প্রাকৃতিক আলো যেমন ভাবে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে, তেমনই ওই প্রযুক্তিতে বিশেষায়িত ফিল্ম একাধিক স্তরে সাজিয়ে স্ক্রিন থেকে নির্গত কৃত্রিম আলোর আউটপুট প্রাকৃতিকে রূপান্তর করা হয়। গোটা পদ্ধতিটাই সম্পন্ন হয় হার্ডওয়্যার স্তরে। এই ভাবে প্রাকৃতিক আলোর বৈশিষ্ট্য নকলের মাধ্যমে একটি 'প্রাকৃতিক আলোর পর্দা' তৈরি করে চোখের যত্ন রাখবে আইকো ১৩। শুধু চোখের সুরক্ষার ক্ষেত্রে নয়, কনটেন্ট দেখার ক্ষেত্রেও আইকোর ফ্ল্যাগশিপ ফোনের ডিসপ্লে ফাটাফাটি অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।
আইকো ১৩-এর ৬.৮২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের এলটিপিও এলেড স্ক্রিনটি ৩১৮০x১৪৪০ পিক্সেল রেজোলিউশন প্রদান করবে। চীনের বিখ্যাত ডিসপ্লে প্রস্তুতকারী বিওই-এর সহযোগিতায় বিশেষভাবে তৈরি হয়েছে এটি। ফোনে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন এলিট চিপসেটের উপস্থিতি একে কমপ্লিট প্যাকেজ করে তুলেছে। সঙ্গে ১৬ জিবি র্যাম ও ১ টিবি স্টোরেজ পারফরম্যান্সে কোনও বাধা আসতে দেবে না। গেমিংয়ের জন্য নিজস্ব চিপ ব্যবহার করছে আইকো। সামনে ৩২ মেগাপিক্সেল সিঙ্গেল ও পিছনে ৫০ মেগাপিক্সেল ট্রিপল ক্যামেরা অবস্থান করছে। আর মাত্র একটা রাতের অপেক্ষা। চীনে আইকো ১৩ লঞ্চ হবে আগামীকাল। তারপরই দাম, ক্যামেরার খুঁটিনাটি সহ সমস্ত স্পেসিফিকেশন প্রকাশ্যে আসবে।