গাড়ি ছুটতে পারবে 150 কিমি স্পিডে, দেশের অন্যতম দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদী
রবিবার ‘মহাসম্রুদ্ধী এক্সপ্রেসওয়ে’-এর একাংশের শুভ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নাগপুর থেকে মুম্বাই পর্যন্ত বিস্তৃত এই জাতীয় সড়কটি ভারতের ‘হাইটেক’ এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। নাগপুরের সাথে এটি মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলায় অবস্থিত শিরডি মন্দিরের সাথে সংযোগ স্থাপন করবে। যাত্রাপথে ৫২০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে। ‘হিন্দু হৃদয়সম্রাট বলসাহেব থ্যাকারে মহারাষ্ট্র সম্রুদ্ধী মহামার্গ’ নামক প্রকল্পের আওতায় এই এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৭০১ কিলোমিটার। যা ভারতের অন্যতম দীর্ঘতম।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে উক্ত প্রকল্পের নমুনটি মহারাষ্ট্রের তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের মস্তিষ্কপ্রসূত। এক্সপ্রেসওয়েটির নির্মাণকার্য সম্পূর্ণ হলে নাগপুর থেকে মুম্বাই যাত্রাপথের সময় ১১ ঘন্টা কমিয়ে আনবে। আগের এই পথ অতিক্রম করতে যেখানে ১৮ ঘন্টা সময় লাগতো সেটি সাত ঘন্টায় তা সাত ঘন্টাতেই পৌঁছানো যাবে। যাত্রাপথে মোট ১০টি জেলা অতিক্রম করবে এটি। এই সম্পূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ৫৫,০০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
এই এক্সপ্রেসওয়ে বিদর্ভা, মারাঠওয়াড়া, এবং উত্তর মহারাষ্ট্র সমেত রাজ্যের মোট ২৪টি জেলার উন্নয়নে পরোক্ষভাবে ভূমিকা পালন করবে। দেশের দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়েগুলির মধ্যে এটি একটি। তবে পরবর্তীতে নাগপুর-মুম্বাই সড়কটি দিল্লি মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের সাথে সংযুক্ত করা হবে। এছাড়া জওহরলাল নেহেরু পোর্ট ট্রাস্ট সহ বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্র যেমন অজন্তা-ইলোরা গুহা, শিরডি, লোনার ও আরও অন্যান্য অঞ্চলকে একসাথে সংযুক্ত করবে।
এই প্রসঙ্গে, ফডণবীস টুইটারে জাতীয় সড়কটির একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, “হ্যাঁ এটাই ভারতবর্ষ, এটি মহারাষ্ট্রও। এখন সমস্ত ছবিতে থেকে সাধারণ বিষয়টি অনুমান করুন।” নাগপুরের অসংখ্য জনগণ এই প্রকল্পটি উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জ্ঞাপন ও শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই এক্সপ্রেসওয়েটিতে নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর ইভি চার্জিং স্টেশন থাকবে। সর্বোচ্চ গতিবেগের সীমা হবে ১৫০ কিমি/ঘন্টা। ফলে মুম্বাই থেকে ঔরঙ্গাবাদ মাত্র চার ঘন্টায় পৌঁছানো যাবে। এতে অবস্থিত যত টানেল ও সমগ্র যাত্রাপথটি নজরকাড়া লাইটিং দ্বারা শোভিত করা হবে।