Online Game: গেম খেলতে গিয়ে 52 লক্ষ টাকা নষ্ট, 'গুণবতী' মেয়ে মাত্র 5 টাকা বাঁচিয়ে রাখল মায়ের অ্যাকাউন্টে
প্রায় প্রতিটি দেশেই এখন Online Gaming ভীষণ জনপ্রিয়। তবে অনলাইন গেমের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি কিন্তু বেশ বিপদজনকও। অতীতে বহু ঘটনার মাধ্যমে এর প্রমাণ আমরা পেয়েছি। সম্প্রতি আবার চীনে গেম খলতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা নষ্ট করার অভিযোগ সামনে এসেছে। জানা গেছে, একটি ১৩ বছর বয়সী মেয়ে মাত্র চার মাসে অনলাইন গেমিং-এ ব্যয় করেছে ৪৪৯,৫০০ ইউয়ান অর্থাৎ ৫২,১৯,৮০৯ টাকা। আসলে বেশির ভাগ গেমেই কিছু পেড টুল থাকে। যে টুলগুলি গেমারদের আরো ভালোভাবে গেম খেলতে সহায়তা করে। তবে সেই টুল গুলির অ্যাকসেস পেতে গেলে গেমারদের কিছু অর্থ ব্যয় করতে হয়। চীনের ওই কিশোরীটিও এই টুলগুলি ক্রয় করার জন্য খরচ করে ফেলেছিল সমস্ত টাকা।
কিভাবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে এল?
সাউথ চায়না মর্নিং এর খবরে বলা হয়েছে, এক স্কুলশিক্ষক মেয়েটিকে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করতে দেখে সন্দেহ করেন যে সে পে-টু-প্লে গেমে আসক্ত। তারপর মেয়েটির মাকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চেক করে হতবাক হয়ে যান, কারণ তখন তার অ্যাকাউন্টে অবশিষ্ঠ ছিল মাত্র ০.৫ ইউয়ান (প্রায় ৫ টাকা)। উল্লেখ্য, একটি ভাইরাল ভিডিওতে মেয়েটির মাকে গেমগুলিতে একাধিক অর্থপ্রদানের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট গুলি প্রকাশ্যে আনতে দেখা যায়।
কিভাবে খালি হলো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ?
মেয়েটির বাবা যখন এই ঘটনা সম্পর্কে মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করেন, তখন সে স্বীকার করে যে গেম কেনার জন্য ১২০,০০০ ইউয়ান (প্রায় ১৩,৯৩,৮২৮টাকা) এবং গেমের টুল কেনার জন্য আরো ২১০,০০০ ইউয়ান (প্রায় ২৪,৩৯,৩৪০টাকা) খরচ করেছে৷ এছাড়াও, ওই কিশোরী তার ১০ জন বন্ধুকে গেম কেনার জন্য ১০০,০০০ ইউয়ান (প্রায় ১১,৬১,৫৯০ টাকা) দেওয়ার কথাও জানিয়েছে।
মেয়েটি কিভাবে জানলো ডেবিট কার্ডের পাসওয়ার্ড?
মেয়েটি জানায়, একবার তার টাকার প্রয়োজন হয়, আর সেই সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় তার মা তার সাথে কার্ডের পাসওয়ার্ড শেয়ার করেন। আর সে যখন ডেবিট কার্ড হাতে পায়, তখন সে কার্ডটি তার স্মার্টফোনের সাথে সংযুক্ত করে ফেলে। প্রসঙ্গত, মেয়েটি আরও জানায় যে, সে এই কাজটি গোপন রাখার জন্য তার স্মার্টফোন থেকে মোবাইল গেম লেনদেন সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য মুছে দেয়।
ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে
এই ঘটনাটি চীনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হবার সাথে সাথে এই পরিস্থিতির দায় কার, সেই নিয়ে রীতিমতো বিতর্কও শুরু হয়েছে। এক পক্ষের মতে ১৩ বছর বয়সী একটি মেয়ের এমন কাজ সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত ছিল, অন্য পক্ষের মত পিতামাতার সন্তানের প্রতি আরো বেশি নজর দেওয়া উচিত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির গবেষণা অনুসারে, বর্তমানে চীনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ স্মার্টফোনে আসক্ত, আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান গুলিতে রয়েছে সৌদি আরব এবং মালয়েশিয়া।