মাত্র 6 মাসে বিক্রি 1 লাখ টপকাল, একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে Royal Enfield Hunter 350
গত বছরের আগস্টেই আনুষ্ঠানিকভাবে এদেশে পদার্পণ করেছিল রেট্রো মোটরসাইকেল নির্মাতা Royal Enfield এর সবচেয়ে কম দামী মডেল Hunter 350। ছোট চেহারা এবং তুলনামূলক হালকা ওজন, এবং সর্বোপরি আধুনিক দেখতে হান্টার স্বল্প সময়ের মধ্যেই বাইকপ্রেমীদের নয়নের মনি হয়ে উঠেছে। তাই ১.৫ লাখ টাকা মূল্যের হান্টার বর্তমানে সংস্থার দ্বিতীয় সর্বাধিক বিক্রিত মোটরসাইকেল। জনপ্রিয়তার শিখরে দাঁড়িয়ে বাইকটির মুকুটে নতুন পালক যুক্ত হওয়ার ঘোষণা করল রয়্যাল এনফিল্ড। ২০২২ সালের আগস্ট থেকে শুরু করে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত এই ছয় মাসেই হান্টার ৩৫০ এর বিক্রি ১ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
Royal Enfield Hunter 350 এখন 1 লাখ ভারতীয় পরিবারের সদস্য
একদিকে যখন সুপার মিটিয়র ৬৫০ নিয়ে মাতোয়ারা টু-হুইলার মার্কেট, ঠিক তখনই এই সংস্থার সবচেয়ে কম দামি বাইক হান্টার ৩৫০ এর এই সাফল্যের তথ্য প্রকাশ করেছে রয়্যাল এনফিল্ড। জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই এই বাইকটির ১,০০,১৮৩ ইউনিট বেচেছে তারা। এমনকি সংস্থার বেস্ট সেলিং বাইক ক্লাসিক ৩৫০ এর ঘাড়ের কাছেই নিঃশ্বাস ফেলছে হান্টার।
মাস ভিত্তিক বিক্রি এবং ভ্যারিয়েন্ট
বিক্রিবাটার নিরিখে এই ছয় মাসের মধ্যে গত বছরের আগস্টেই সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে হান্টার। সেই মাসে বিক্রি ১৮,০০০ এর গণ্ডি পেরিয়েছিল হয়েছিল। তার পরের মাসে ১৭,১১৮ ইউনিট। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে মোটামুটি ভাবে ১৫,৫০০ টির আশেপাশে মডেল বিক্রি হয়েছিল। ডিসেম্বর ও গত মাসে যথাক্রমে ১৭,২৬১ ও ১৬,৫৭৪ ইউনিট নতুন ক্রেতার খোঁজ পেয়েছিল ছ'মাসের গড় করলে দাঁড়ায় ১৬,৬৯৭টি।
দুটি আলাদা ভ্যারিয়েন্টে মেলে এটি- রেট্রো এবং মেট্রো। প্রথমটি মূলত কম বাজেটের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হলেও দ্বিতীয়টিতে রয়েছে অত্যাধুনিক ফিচার। কালার অপশনগুলির মধ্যে রয়েছে রেবেল ব্লু, রেবেল ব্ল্যাক, রেবেল রেড, ড্যাপার অ্যাস, ড্যাপার ওয়াইট এবং ড্যাপার গ্রে নজর কাড়ে।
Royal Enfield Hunter 350 ইঞ্জিন ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য
রয়্যাল এনফিল্ড এর এই বাইকে চালিকাশক্তি যোগায় ক্লাসিক ও মিটিওর-এ ব্যবহৃত একই ৩৫০ সিসির ইঞ্জিন। সিঙ্গেল সিলিন্ডার যুক্ত এই ইঞ্জিনটি ৬১০০ আরপিএম গতিতে সর্বাধিক ২০.২ এইচপি শক্তি এবং ৪০০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ২৭ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে পারে। সাথে রয়েছে পাঁচ ধাপ যুক্ত গিয়ার বক্স।
হান্টার ৩৫০ এর গুরুত্বপূর্ণ ফিচারগুলির মধ্যে রয়েছে গোলাকার ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ট্রিপার নেভিগেশন পড, ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সহ আরো অনেক কিছু। ডিজাইনের প্রসঙ্গে বলতে গেলে সামনেই রয়েছে গোলাকার হেডল্যাম্প, স্প্লিট গ্র্যাব রেল, গোলাকৃতি টেলল্যাম্প, ডিম্বাকার টার্ন ইন্ডিকেটর এবং কালো রঙের অ্যালয় হুইল। টুইন ডাউন টিউব ফ্রেমের উপর নির্মিত এই বাইক রয়েছে ১৩ লিটারের টিয়ার ড্রপ আকৃতির ফুয়েল ট্যাঙ্ক। বাইকটির কার্ভ ওয়েট ১৭৭ কেজি।
হান্টার ৩৫০ এর হুইল বেসের দৈর্ঘ্য ১৩৭০ মিমি। সিটের উচ্চতা ৮০০ মিমি এবং গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৫০ মিমি। বাইকটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ১১৪ কিমি/ঘণ্টা। ব্রেকিংয়ের দায়িত্ব সামলাতে উভয় চাকাতেই ডিস্ক ব্রেক উপলব্ধ রয়েছে। সামনের দিকে রয়েছে ১৩০ মিমি লম্বা ৪১ মিমি চওড়া টেলিস্কোপিক সাসপেনশন। পিছনের দিকে রয়েছে ১০২ মিমি লম্বা অ্যাডজাস্টেবল সক অ্যাবজর্ভার।