বাড়িতে বসেই পাবেন ফোন বা ট্যাবলেট সারাই এর পরিষেবা, Samsung আনলো পিক আপ এন্ড ড্রপ সার্ভিস
প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলির তালিকার উপরদিকে অবস্থান করছে Samsung। দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থাটির এদেশের বাজারে প্রায় ২৫ শতাংশ শেয়ারও রয়েছে। মূলত গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী ডিভাইস আনার কারণেই সংস্থাটি এতদিন ধরে নিজেদের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। সেক্ষেত্রে আজ ভারতীয় মোবাইল ইউজারদের জন্য নতুন 'পিক-আপ অ্যান্ড ড্রপ' পরিষেবা চালু করে, Samsung নিজের কন্ট্যাক্ট-লেস পরিষেবাটিকে আরো খানিকটা প্রসারিত করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নতুন পরিষেবাটির সাহায্যে ইউজাররা সহজেই Samsung-এর সার্ভিস সেন্টার পরিদর্শন করে 'ড্রপ-ওনলি' পরিষেবা বেছে নিতে পারবেন, যাতে ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট ইউজাররা ডিভাইসে কোনোরকম অসুবিধা হলে বাড়িতে বসেই সেটির মেরামতির পরিষেবা পাবেন। মূলত করোনা অতিমারী পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে সংস্থাটি এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এক্ষেত্রে, ভারতের ৪৬টি শহরে (কলকাতা, দিল্লি, গুড়গাঁও, মুম্বই, পুনে, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, আহমেদাবাদ, গাজিয়াবাদ, ফরিদাবাদ, নয়ডা, চণ্ডীগড়, লুধিয়ানা, জলন্ধর, জয়পুর, উদয়পুর, যোধপুর, আগ্রা, লখনউ, বারাণসী, দেরাদুন, গুয়াহাটি, ভুবনেশ্বর, পাটনা, দুর্গাপুর, রাঁচি, থানে, ঔরঙ্গবাদ, কোলাপুর, নাগপুর, সুরত, ভাদোদরা, ভোপাল, ইন্দোর, রায়পুর, রাজকোট, জবলপুর
কোয়েম্বাটুর, মাদুরাই, কোচি, কালিকট, তিরুপতি, হুবলি, হায়দ্রাবাদ, বিজয়ওয়াড়া এবং বিশাখাপত্তনম) 'পিক-আপ অ্যান্ড ড্রপ' পরিষেবা পাওয়া যাবে। অন্যদিকে এই পরিষেবার জন্য সংস্থার তরফে সমস্ত সেফটি (সুরক্ষা) প্রোটোকল অনুসরণ করা হবে।
তবে জানিয়ে রাখি, যারা স্যামসাং (Samsung)-এর যেকোনো ট্যাবলেট এবং Galaxy A, Galaxy M, Galaxy S, Galaxy F, Galaxy Note, Galaxy Fold সিরিজের স্মার্টফোন ব্যবহার করেন – আপাতত কেবল তারাই এই পরিষেবার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। স্যামসাং ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করেছে যে, মাত্র ৯৯ টাকা বা ১৯৯ টাকা ব্যয় করলেই এই 'পিক-আপ অ্যান্ড ড্রপ' পরিষেবার সুবিধা নেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে পরিষেবাটি উপভোগ করতে গ্রাহকদের ডিজিটাল পেমেন্ট করতে হবে।
কীভাবে এই 'পিক-আপ অ্যান্ড ড্রপ' পরিষেবাটি অ্যাক্সেস করবেন?
আগ্রহী গ্রাহকরা এই পরিষেবাটির জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে, সংস্থার হোয়াটসঅ্যাপ সাপোর্ট নম্বরে (১৮০০-৫-৭২৬৭৮৬৪) একটি মেসেজ পাঠাতে পারেন। তবে শুধু রেজিস্ট্রেশন নয়, এই পদ্ধতি অনুসরণ করে সংস্থার থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং সার্ভিস সেন্টারের লোকেশন, মেরামতির স্থিতি, নতুন অফার ইত্যাদি তথ্য পাওয়া যাবে। উপরন্তু, স্যামসাং এখন গ্যালাক্সি স্মার্টফোন বা স্মার্টটিভির সাহায্যে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে রিমোট সাপোর্ট দিচ্ছে যাতে অনলাইন কোনো সমস্যার কথা জানালে সেটির তাৎক্ষণিক সমাধান মিলতে পারে।