Smartphone: গোদের উপর বিষফোঁড়া! অগ্নিমূল্য বাজারে ফের দাম বাড়ছে স্মার্টফোনের
বিশ্বজুড়ে বাড়তে চলেছে ফোনের দাম। ৫জি এবং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি যোগ করার জন্য বিপুল টাকা খরচ করতে হচ্ছে সংস্থাগুলিকে। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের উপর।
মোবাইল ফোন এখন শুধু কল, এসএমএস বা সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। উন্নত ৫জি প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে জেনারেটিভ এআইয়ের মতো আধুনিক বৈশিষ্ট্য। এগুলি পরিচালনা করতে বিপুল বিনিয়োগ করতে হচ্ছে সংস্থাগুলিকে। যেকারণে কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে যে, স্মার্টফোনের বিশ্বব্যাপী গড় বিক্রয় মূল্য (এএসপি) ২০২৪ সালে ৩ শতাংশ এবং ২০২৫ সালে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হয়েছে।
মূলত শক্তিশালী প্রসেসর এবং উন্নত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যুক্ত প্রিমিয়াম ডিভাইসগুলির চাহিদা বাড়ছে বাজারে। এই বৈশিষ্ট্যগুলি বহন করার জন্য অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে স্মার্টফোন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে।
কী কী কারণে স্মার্টফোনের দাম বাড়ছে?
উন্নত প্রসেসর, ক্যামেরা, ব্যাটারি সবকিছুর সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই ফিচার। টেকনোলজির ভাষায়, জেনারেটিভ এআই চালিত বৈশিষ্ট্যগুলি অত্যন্ত খরচ সাপেক্ষ। এর জন্য আলাদা সিপিইউ, এনপিইউ এবং জিপিইউ বানানোর প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমরা ইতিমধ্যে এআই স্মার্টফোনের যুগে প্রবেশ করে ফেলেছি। জেনএআই বৈশিষ্ট্য দ্বারা চালিত ফোনের চাহিদা আগামীদিনেও ঊর্ধ্বমুখী থাকতে চলেছে।
এআই ছাড়াও ফোনের দাম বাড়ার আরও একটি কারণ প্রসেসর। ইতিমধ্যেই ৪ এবং ৩ ন্যানোমিটার চিপ বানানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সংস্থাগুলি। এই জটিল এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রসেসরগুলি বেশ খরচ সাপেক্ষ। এগুলি বানানোর জন্য গবেষণা এবং বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন। যে কারণে বিশ্বব্যাপী হু হু করে বাড়ছের স্মার্টফোনের দাম।
হার্ডওয়্যার অগ্রগতির পাশাপাশি, সফ্টওয়্যার এবং এআই অ্যালগরিদমের ক্রমবর্ধমান জটিলতাও খরচ বাড়িয়ে তুলেছে। স্মার্টফোনগুলি আরও উন্নত করার পাশাপাশি সংস্থাগুলিকে সফ্টওয়্যার তৈরি এবং অপ্টিমাইজেশানের জন্য অতিরিক্ত সংস্থান বরাদ্দ করতে হচ্ছে। মূলত এই সমস্ত কারণে ২০২৫ সাল থেকে এক লাফে অনেকটাই বাড়তে চলেছে ফোন, ট্যাবের দাম।