ভুয়ো প্রচার রুখতে WhatsApp ইউজারদের ওপর নজর রাখবে মোদী সরকার! উঠছে গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন

Avatar

Published on:

Modi Govt asks WhatsApp to Share User Details

ভারত তথা গোটা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন হল WhatsApp। অধিকাংশ স্মার্টফোনে অন্য কোনো অ্যাপ থাক বা না থাক এটি থাকছেই – আর প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ বন্ধু, পরিবার-পরিজন, সহকর্মী প্রমুখের সাথে মেসেজে যোগাযোগ করার জন্য এটি ব্যবহার করছেন। আবার এখন তো Channel নামের একমুখী কমিউনিকেশন সিস্টেমও WhatsApp-এ যুক্ত হয়েছে। কিন্তু প্ল্যাটফর্মটির এই কার্যকারিতাকে কাজে লাগিয়েই বারংবার দেশের মানুষের মধ্যে স্প্যাম মেসেজ বা ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, এমনকি WhatsApp-ও মাঝে মাঝে ডিপফেক (Deepfake)-এর মতো অনৈতিক কাজের বাহক হয়ে উঠছে – বিশেষ করে লোকসভা নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে দাঁড়িয়ে। সেক্ষেত্রে এই বিষয়টির কথা মাথায় রেখে ২০২৪ সালের ভোটের আগে ভারত সরকার আবারও WhatsApp সংক্রান্ত একটি নতুন আইন আনার কথা ভাবছে, যেখানে কোন ইউজার সর্বপ্রথম একটি মেসেজ ছড়িয়ে দিচ্ছে বা একটি ভুয়ো খবর WhatsApp-এর মাধ্যমে কে প্রথম শেয়ার করছে, সেই তথ্য সরকারকে জানাবে কোম্পানি। যদিও বরাবরের মতোই মোদী সরকারের এই চিন্তা-ভাবনায় সায় দেয়নি মেটা-মালিকানাধীন সংস্থাটি, তারা বলেছে যে এমনটা হলে ইউজারদের প্রাইভেসি বা গোপনীয়তা বিঘ্নিত হবে, এমনিতে দুজন WhatsApp ব্যবহারকারীর মধ্যেকার কথোপকথনের বিশদ কোম্পানির কাছেই উপলব্ধ থাকে না।

WhatsApp-এর মাধ্যমে কি ইউজারের মেসেজে নজর রাখতে চায় সরকার?

আজকালকার সময়ে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের মাধ্যমে প্রায়শই রাজনীতিবিদদের ডিপফেক বা ভুয়ো ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এইসব ভিডিওর উৎস খুঁজতে তথা কে বা কারা প্রথম এই ধরনের ভিডিও শেয়ার করে তা জানতে সরকার হোয়াটসঅ্যাপের জন্য নতুন আইন চালু করতে চাইছে। ইনফরমেশন টেকনোলজি (IT) রুলস ২০২১-এর অধীনে এই ধরণের ইউজারদের পরিচয় শেয়ার করার জন্য সরকার কোম্পানিটিকে নির্দেশ দিতে পারে।

আপাতদৃষ্টিতে মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত বেশ অস্বস্তিকর মনে হতে পারে। অনেকেই আশঙ্কা করতে পারেন যে, তাদের ব্যক্তিগত চ্যাটের ওপর তাহলে এবার হোয়াটসঅ্যাপ খোদ এবং তার সাথে সরকারও নজর রাখবে। কোম্পানি নিজেও এক্ষেত্রে গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ হওয়ার কথা বলেছে। তবে আদতে ভারতে নির্বাচনী অখণ্ডতা বজায় রাখতে এবং রাজনৈতিক স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এমন নিয়ম চালু হতে পারে বলে একজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালেও হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক (Facebook)-এর জন্য এমনই নতুন প্রবিধান চালু করার কথা বলেছিল সরকার। ওই সময় দিল্লি হাইকোর্টে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল।

সঙ্গে থাকুন ➥