Hero-র নয়া 160cc বাইক Pulsar NS160-কে টেক্কা দিতে পারবে? তুলনা দেখে নিজেই বিচার করুন
সময়ের নৌকায় ভর করে ক্রমাগতই ভারতের বাজারে ১৬০ সিসির মোটরসাইকেল সেগমেন্ট পরিপূর্ণতা অর্জন করছে। আজকালকার দিনে দাঁড়িয়ে গ্রাহকরা সাধারণ কমিউটার বাইকের তুলনায় অধিক ক্ষমতার ১৬০ সিসি রেঞ্জের বাইককেনার দিকে ঝুকছেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই একের পর এক সংস্থা তাদের নতুন মডেল লঞ্চ করে চলেছে এই বিভাগে। সেই তালিকায় Hero-র নবতম সংযোজন Xtreme 160R 4V। আগের 2V ভার্সনের তুলনায় বেশ কিছু আপগ্রেড রয়েছে এতে। অন্যদিকে ১৬০ সিসির জগতে বিগত কয়েক বছর ধরেই সাফল্যের সঙ্গে নিজের জয়ধ্বজা উড়িয়ে চলেছে Bajaj Pulsar NS 160। সম্প্রতি আপডেটেড ভার্সন লঞ্চ হয়েছে এই বাইকটিরও। তাহলে এক্সট্রিম ও পালসার এর মধ্যে সেরা কে? আজ তারই তুলনামূলক আলোচনা রইল এই প্রতিবেদনে।। তাহলে এক্সট্রিম ও পালসার এর মধ্যে সেরা কে? আজ তারই তুলনামূলক আলোচনা রইল এই প্রতিবেদনে।
2023 Hero Xtreme 160R 4V vs Bajaj Pulsar NS160: লুকস
হিরো এক্সট্রিম ১৬০আর বাইকটির ফোর ভাল্ভ ভার্সনের ডিজাইন নিয়ে সামান্য কাটাছেঁড়া করেছে। এটি অনেক বেশি মাসকুলার এবং অ্যাগ্রেসিভ। সামনের হেডলাইট থেকে শুরু করে ইঞ্জিন কভার সবেতেই নতুনত্বের ছোঁয়া পাবেন আপনি। বদলেছে ফুয়েল ট্যাংকের আকার। তবে সবচেয়ে বড় ধামাকা হিসাবে একটানা লম্বা সিটের পরিবর্তে এর টপ মডেলে এবার স্প্লিট সিট সেটাপ দেওয়া হয়েছে। আর পালসার এনএস১৬০ এর ডিজাইন লঞ্চের প্রথম দিন থেকে আজও প্রায় অপরিবর্তিত। দেখতে অআক্রমণাত্বক ও স্পোর্টি হলেও আধুনিকতার ছোঁয়া এই বাইকে অনুপস্থিত।
2023 Hero Xtreme 160R 4V vs Bajaj Pulsar NS160: ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন
এক্সট্রিম ১৬০ আর ৪ভি মডেলটিতে সবচেয়ে বড় তুরূপের তাস হিসেবে ডাবল ভাল্ভ যুক্ত ইঞ্জিনের পরিবর্তে চারটি ভাল্ভ ব্যবহার করেছে হিরো। একে চালিকাশক্তি যোগায় ১৬৩.২ সিসির অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন, যা ৮৫০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ১৬.৬৬ বিএইচপি শক্তি এবং ৬৫০০ আরপিএমে সর্বাধিক ১৪.৬ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। সাথে রয়েছে পাঁচ ধাপযুক্ত গিয়ার বাক্স।
বাজাজ পালসার এনএস১৬০ এর অলিন্দে ১৬০.৩ সিসির অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। ফাইভ স্পিড গিয়ার বক্স যুক্ত এই ইঞ্জিনটি থেকে ৯০০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ১৬.৯৬ বিএইচপি শক্তি এবং ৭২৫০ আরপিএম গতিতে সর্বাধিক ১৪.৬ এনএম টর্ক উৎপাদিত হয়। এক্ষেত্রেও গিয়ারের সংখ্যা পাঁচ।
2023 Hero Xtreme 160R 4V vs Bajaj Pulsar NS160: ফিচার্স
অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্যের কথা বলতে গেলে এক্সট্রিম ১৬০আর ৪ভি এর সর্বত্রই যেখানে এলইডি লাইটের ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে পালসার এনএস ১৬০ তে কেবলমাত্র এলইডি টেলল্যাম্প দেখতে পাওয়া যায়। হিরোর এই বাইকে ফুল ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এর সঙ্গে ব্লুটুথ এবং সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস বিদ্যমান। অন্যদিকে পালসার এনএস ১৬০ এর মধ্যে সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল থাকলেও ডুয়েল চ্যানেল এবিএস অপশন মিলবে। উভয়ের ক্ষেত্রেই সাসপেনশনের দায়িত্ব সামলায় সামনের দিকে ইউএসডি ফর্ক এবং পিছনে মনোশক অ্যাবজরভার।
2023 Hero Xtreme 160R 4V vs Bajaj Pulsar NS160: দাম
চার ভালভ যুক্ত এক্সট্রিম ১৬০আর এর এক্স শোরুম মূল্য শুরু হয়েছে ১.১৯ লাখ টাকা থেকে। এর টপ মডেলের দাম ১.৩০ লাখ টাকা (এক্স শোরুম)। পাশাপাশি বাজাজ পালসার এনএস ১৬০এর এক্স শোরুম মূল্যের রেঞ্জ ১.২৫ লাখ টাকা থেকে ১.৩৭ লাখ টাকার মধ্যেই।