পরিবেশ দূষণকে বাগে আনতে হলে ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি বাণিজ্যিক যানবাহনকেও পরিবেশবান্ধব শক্তিতে চালাতে হবে। বিশেষ করে গণপরিবহন থেকে যে বিপুল পরিমাণ ক্ষতিকর ধোঁয়া বাতাসে মিশছে, তা আটকানোর পথ খুঁজতে হবে। এ কাছে কিছুটা হলেও সফল হয়েছে ইলেকট্রিক বাস। ডিজেলের বদলে ব্যাটারি পরিচালিত হওয়ার কারণে এই ধরনের আধুনিক বাস পরিবেশের জন্য ভাল।
বিগত কয়েক বছর রাস্তায় বৈদ্যুতিক বাসের চলাচল বেড়েছে। এবং আগামী ক’বছরের মধ্যে তা যে আরও বাড়বে, সে দিকে ইঙ্গিত করলেন কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রী মহেন্দ্র নাথ পান্ডে। তিনি একটি সম্মেলনের মঞ্চ থেকে বলেন, কেন্দ্র ফেম-টু প্রকল্পের আওতায় আগামী দু’বছরের মধ্যে আরও তিন হাজার বাস রাস্তায় নামানোর পরিকল্পনা করছে।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহেন্দ্র নাথ পান্ডে বলেছেন, এই মুহূর্তে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পাবলিক রোডে ৩,০৪৯টি ইলেকট্রিক বাস চলাচল করছে। এবং পরবর্তী দু’বছরে সংখ্যাটা দ্বিগুন করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে মোদি সরকার। উল্লেখ্য, ফেম-টু ভর্তুকি পেতে হলে বৈদ্যুতিক যানবাহনের কিছু নির্দিষ্ট অংশ নির্মাতাদের নিজেদেরই বানাতে হয়। মেড-ইন-ইন্ডিয়া না হলে সরকারের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা মেলে না।
পান্ডে জানান, প্রশাসনের তরফে দুই সংস্থাকে তলব করা হয়েছে। তাদের ভেহিকেলে ব্যবহৃত কম্পোনেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। যাতে স্পষ্ট হয়, ফেম-টু প্রকল্পের মাপকাঠি পূর্ণ করে সেগুলি ভর্তুকির যোগ্য কী না। যদিও সংস্থা দু’টি কারা বা তাদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি। পান্ডে সোজাসুজি বুঝিয়ে দেন, সরকার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে ভর্তুকি দিই। আর তা ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।