Ampere মেড-ইন-ইন্ডিয়া ইলেকট্রিক স্কুটার দেশের বাইরে রপ্তানির প্ল্যান করছে, 1171 কোটি টাকা লগ্নি পেল

By :  SUMAN
Update: 2022-08-16 08:45 GMT

ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ইলেকট্রিক টু-হুইলার সংস্থা অ্যাম্পিয়ার ইলেকট্রিক (Ampere Electric)-কে প্রথম স্থানে টেনে তুলতে চেষ্টায় খামতি রাখছে না তাদের অভিভাবক গ্রীভস কটন (Greaves Cotton)। দেশের বাজারে ইলেকট্রিক টু ও থ্রি হুইলার বিক্রির পাশাপাশি যাতে, বিদেশের বাজারেও রপ্তানি করা যায়, সেই পথ সুগম করতে বদ্বপরিকর তারা। জুনে সৌদি আরবের আব্দুল লতিফ জামিল (Abdul Latif Jameel) নামক এক পারিবারিক ব্যবসার ব্র্যান্ড অ্যাম্পিয়ারে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আর এতেই বিশ্ববাজারে দেশে তৈরি ই-স্কুটার রপ্তানির বড়সড় সুযোগ দেখছে অ্যাম্পিয়ার।

উল্লেখ্য, বর্তমানে আব্দুল লতিফ জামিলের ৩০টির বেশি দেশে ব্যবসা রয়েছে। নিজেদের ব্যবসা প্রসঙ্গে গ্রীভস কটনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও নাগেশ বাসাভানহাল্লি সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, “গ্রীভস ইলেকট্রিক মবিলিটি বর্তমানে নতুন দুই ও তিন চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ির সেগমেন্টে কাজ করে চলেছে। যার মধ্যে উচ্চগতির ইলেকট্রিক স্কুটারও রয়েছে। যেগুলি চলতি আর্থিক বর্ষেই লঞ্চ করা হতে পারে।”

জুনে আব্দুল লতিফ জামিল সাথে চুক্তি অনুযায়ী তারা অ্যাম্পিয়ার ইলেকট্রিকে ২২০ কোটি ডলার (প্রায় ১,৭৪৯ কোটি টাকা) বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যার প্রাথমিক পর্যায়ে ১৫০ কোটি ডলার লগ্নি করেছে, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১,১৭১ কোটি টাকি। এর ফলে আরবের সংস্থাটি গ্রীভস ইলেকট্রিক মোবিলিটির ৩৫.৮০% মালিকানা পেয়েছে। বর্তমানে তারা পাঁচ ধরনের ব্যবসার সাথে যুক্ত – ইঞ্জিন নির্মাণ, ইলেকট্রিক মোবিলিটি,, রিটেল, ফাইন্যান্সিং এবং প্রযুক্তি।

গ্রীভস ইলেকট্রিক মোবিলিটি অ্যাম্পিয়ার ব্র্যান্ড নামের অধীনে ইলেকট্রিক টু-হুইলার এবং Ele ও Teja ব্যান্ডের অধীনে বৈদ্যুতিক তিন চাকার গাড়ি, ইলেকট্রিক অটো এবং ইলেকট্রিক রিকশার নির্মাণ করে। এই প্রসঙ্গে বাসাভানহাল্লি বলেন, “আমরা আমাদের ইলেকট্রিক স্কুটার রপ্তানির সুযোগ খুঁজছি। এ বিষয়ে সংস্থার অন্তরে পর্যালোচনা চলছে। তবে রপ্তানির বিষয়টি অবশ্যই আমাদের মনে রয়েছে।” তিনি আব্দুল লতিফ জামিলের প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, “বর্তমানে আমাদের অংশীদারের ৩২টি দেশে উপস্থিতি আছে। এর ফলে আমাদের বাজার ধরতে সুবিধা হবে।”

প্রসঙ্গত, গ্রীভস কটন তামিলনাড়ুর রানীপেটে গত বছর নভেম্বরে তাদের ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটির উদ্বোধন করেছিল। ভবিষ্যতে যেখানে বার্ষিক ১০ লক্ষ যানবাহন উৎপাদনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে তারা। এই কারখানাকেই আগামীতে দেশ এবং বিদেশের বাজারে গাড়ি রপ্তানির তালুক হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানানো হয়।

Tags:    

Similar News