Kia Carens: 20 মাসেই 1 লাখ বিক্রির রেকর্ড গড়ল মারুতি আর্টিগা-র রাতের ঘুম কাড়া এই গাড়ি
গেল বছর ফেব্রুয়ারিতে ভারতের মাল্টি পারপাস ভেহিকেল বা এমপিভি (MPV)-র বাজার সরগরম করতে লঞ্চ হয়েছিল Kia Carens। আর মাত্র ২০ মাসের মধ্যে ১ লাখ বিক্রির নজির গড়ল এটি। একটি বিবৃতি প্রকাশ করে একথা জানালো কিয়া (Kia)। জনপ্রিয়তা বাড়ার কারণে কারেন্স-এর ওয়েটিং পিরিয়ড বেড়েছে। এমনকি এর কয়েকটি হায়ার-স্পেক ভ্যারিয়েন্টের ডেলিভারি পেতে একবছরের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়।
১০.৪৫ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) থেকে দাম শুরু হওয়া Kia Carens-এর প্রতিপক্ষ হিসেবে বাজারে রয়েছে – Maruti Suzuki Ertiga ও Toyota Innova Crysta। দক্ষিণ কোরিয়ার গাড়িটি ৬/৭ সিটের বিকল্পে বেছে নেওয়া যায়। আবার মোট ৬টি ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ এটি। সম্প্রতি কারেন্সের X-Line ভ্যারিয়েন্টটি লঞ্চ করা হয়েছে। যার দাম ১৮.৯৪ লাখ থেকে ১৯.৪৪ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম)।
Kia Carens-এর ৬টি ভ্যারিয়েন্ট হচ্ছে – Premium, Prestige, Prestige Plus, Luxury, Luxury Plus ও X-Line। এগুলির মধ্যে একমাত্র Luxury Plus ৬/৭ সিটের বিকল্পে উপলব্ধ। বাকি সবকটি শুধু ৭ আসন সংখ্যায় কেনা যায়। গাড়িটি মোট আটটি রংয়ের বিকল্পে বেছে নেওয়া যায় – ইম্পেরিয়াল ব্লু, মস ব্রাউন, স্পার্কলিং সিলভার, ইন্টেন্স রেড, গ্ল্যাসিয়ার হোয়াইট পার্ল, ক্লিয়ার হোয়াইট, গ্র্যাভিটি গ্রে এবং অরোরা ব্ল্যাক পার্ল।
Kia Carens MPV : পাওয়ারট্রেন
এগিয়ে চলার শক্তি জোগাতে গাড়িটি তিনটি ইঞ্জিনের বিকল্পে হাজির হয়েছে। ১.৫ লিটার সাধারণ, ১.৫ লিটার টার্বো-পেট্রোল ও ১.৫ লিটার ডিজেল ইঞ্জিন। নতুন ১.৫ লিটার টার্বো-পেট্রোলের আউটপুট ১৫৯ বিএইচপি ও ২৫৩ এনএম। এটি iMT ও ৭-স্পিড DCT গিয়ারবক্সে উপলব্ধ। আর সাধারণ পেট্রোল মডেলটির আউটপুট ১১৩ বিএইচপি ও ১৪৪ এনএম। অন্যদিকে ডিজেল ইঞ্জিন থেকে উৎপন্ন হয় ১১৪ বিএইচপি ক্ষমতা ও ২৫০ এনএম টর্ক। এগুলির প্রতিটি RDE নির্গমন বিধি যুক্ত ও E20 জ্বালানিতে চলতে সক্ষম।
Kia Carens MPV : ফিচার্স
এমপিভি গাড়িটিতে ফিচার হিসেবে রয়েছে ৪.২ ইঞ্চি কালার MID সহ একটি ১২.৫ ইঞ্চি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ১০.২৫ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন, কানেক্টেড কার টেক, কিলেস এন্ট্রি, ক্রুজ কন্ট্রোল, হিটেড ফ্রন্ট সিট, ওয়্যারলেস ফোন চার্জিং, অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল এবং রিয়ার ভিউ ক্যামেরা। সেফটি ফিচার্স হিসেবে আছে – ৬টি এয়ারব্যাগ, এবিএস, ইএসসি, হিল স্টার্ট, ডিসেন্ট কন্ট্রোল এবং একটি টায়ার প্রেসার মনিটরিং সিস্টেম ইত্যাদি।