Kolkata: ভয় ধরাচ্ছে কলকাতার দূষণের মাত্রা, ক্ষতিকর গ্যাসের নির্গমন রুখতে গ্র্যান্ড প্ল্যান
বিশ্বে মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণে জর্জরিত শহরগুলির মধ্যে কলকাতা প্রথম সারিতে রয়েছে। পরিবেশঅদূষণের প্রধান উৎস হিসাবে হাজার হাজার যানবাহন থেকে নির্গত ক্ষতিকারক কালো ধোঁয়াকে দায়ী করা হয়। তাই তিলোত্তমায় দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনতে নতুন পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক এবং নীতি আয়োগ-এর যৌথভাবে নির্মিত কলকাতা কম্প্রিহেনসিভ ইলেকট্রিক মোবিলিটি প্ল্যান অনুযায়ী আগামী ২০৩০-এর মধ্যে শহরের রাস্তায় বেশি করে বৈদ্যুতিক যানবাহন চালানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। এতে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের নির্গমন উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে।
কলকাতায় দূষণ ঠেকাতে উদ্যোগ
বিভিন্ন বিভাগের যানবাহনকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করেছে নীতি আয়োগ। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কলকাতায় বিক্রিত বাইক ও স্কুটারের অর্ধেক এবং থ্রি-হুইলারের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে বৈদ্যুতায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আবার ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহৃত গাড়ির ১৫% এবং বাণিজ্যিক গাড়ির ৩০% বৈদ্যুতিক শক্তিতে চালানোর পরিকল্পনার উল্লেখ করা হয়েছে। লক্ষ্যপূরণে সফল হলে ২৮ লক্ষ টন কার্বনের বাতাসে মিশে যাওয়া প্রতিরোধ করা যাবে।
কলকাতায় বৈদ্যুতিক যানবাহনের বিক্রি বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা আছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীতে প্রায় ৩,৫০০ ইলেকট্রিক ভেহিকেল রয়েছে। কিন্তু ২০৩০-এর মধ্যে ৩,৫৫,০০০ পার করাই এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। এক্ষেত্রে ৩,০০৮ কোটি টাকার বেশি অর্থের প্রয়োজন বলেও উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। যদিও বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির থেকে অপারেশনাল সেভিংসের পরিমাণ ১৪,৫২৯ কোটি টাকা পার করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আবার শহরের চার্জিং পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজন ৭৪.৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ।
এদিকে ২০২১ থেকে ২০২২-এ কলকাতায় ইভি গ্রহণের পরিমাণ চার গুণ বৃদ্ধি পেতে দেখা গিয়েছে। যে ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে ইলেকট্রিক টু-হুইলার। মোট যানবাহনের মধ্যে দু’চাকা ব্যাটারি গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের শতকরা হার ৬৪%। যেখানে ফোর হুইলার বিক্রির শতকরা হার ৩৫%। এই রিপোর্টের প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী বলেন, বৈদ্যুতিক যানবাহনের প্রচারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রয়াসকে জোরদার করা হয়েছে।