বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের বিচারে দেশের সমস্ত রাজ্যকে একাই পিছনে ফেলল এই শহর

Avatar

Updated on:

delhi-records-highest-electric-vehicle-sales-in-india-in-december-says-minister

দূষণ প্রতিরোধ করতে হলে পেট্রোল ডিজেল চালিত যানবাহনের ব্যবহার কমাতে হবে। এমনটাই মত পরিবেশবিদদের। প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে পরিবহণ ব্যবস্থা তো ভেঙে পরবে। না, এমনটা কখনই হওয়ার নয়। এক্ষেত্রে আশার আলো দেখাচ্ছে বিকল্প জ্বালানি। যার মধ্যে অন্যতম বিদ্যুৎ। ব্যাটারি চালিত যানবাহনের ব্যবহার যত বাড়ছে, পরিবেশে কালো ধোঁয়া ততই কম মিশছে। এক্ষেত্রে প্রথম থেকেই এগিয়ে রয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লি। সেখানে ইভি বিক্রি বরাবর তুলনামূলক বেশি। ২০২৩-এর শেষলগ্নেও যার ধারা অব্যাহত। আর সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল ডিসেম্বরে মোট বিক্রি হওয়া গাড়ির এক পঞ্চমাংশ বৈদ্যুতিক। অর্থাৎ বিক্রি হওয়া প্রতি পাঁচটির মধ্যে একটি হল ইলেকট্রিক। দিল্লি দেশের ইভি ক্যাপিটাল বলেই দাবি কেজরিওয়াল সরকারের।

বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি সবচেয়ে বেশি দিল্লিতে

দিল্লি সরকারের দাবি, গত মাসে তাদের এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক ইভি বিক্রি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে পরিবহণ মন্ত্রী কৈলাস গহলট এক্স-এ (পূর্ব নাম টুইটার) বলেছেন, “সার্বিকভাবে ২০২৩-এ দিল্লিতে বিক্রিত ৬,৫৭,৩১২টি যানবাহনের মধ্যে ইলেকট্রিক ভেহিকেলের সংখ্যা ৭৩,৬১০টি।”

জানিয়ে রাখি, সম্প্রতি দিল্লি সরকার তিন মাসের জন্য নিজেদের ইভি পলিসি’র মেয়াদ বাড়িয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩-এ এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীতে তা তিন মাসের জন্য বাড়ানো হয়। ২০২৪ এর মার্চ অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের শেষ পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়েছে। এদিকে ইতিমধ্যেই আরো একটি নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ির নীতি প্রস্তাবিত হয়েছে। পুরনোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর এই নতুন পলিসি কার্যকর হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০-তে দিল্লি সরকার তাদের প্রথম ইলেকট্রিক ভেহিকেল পলিসি লঞ্চ করেছিল। আর আসন্ন পলিসিটির নাম ‘দিল্লি ইভি পলিসি ২.০’। বিদ্যমান স্কিমের যাবতীয় ভর্তুকি নতুন বিধিতেও জারি থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন গহলট। যদি কোন ব্যক্তি তার আইসিই মডেলে ইভি কিট রেট্রোফিট করাতে চান, সেক্ষেত্রেও তিনি যাতে ভর্তুকি পান, নতুন পলিসিতে তেমন ব্যবস্থা রাখা হতে পারে।

সঙ্গে থাকুন ➥