Electric Car: ইলেকট্রিক গাড়ির ভাল ও খারাপ দিক

Avatar

Published on:

Pros & Cons of Electric Vehicle

বিরাট কোহলি সামনের বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করুক চাই নাই করুক দেশে পেট্রোল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে অনেক আগেই। ডিজেলের দামও ১০০-এর দোরগোড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে নাভিশ্বাস উড়ছে সাধারণ মানুষের। আর এই পরিস্থিতির ফসল তুলছে বৈদ্যুতিক যানবাহনের। রিপোর্ট অনুযায়ী আগস্টে গত জুলাই মাসের তুলনায় ইলেকট্রিক ভেহিকেলের বিক্রি ৯ শতাংশ বেড়ে ১,২৬,৩২৪ ইউনিটে পৌঁছেছে। গত বছরের আগস্টের তুলনায় যা ৪৩ শতাংশ বেশি।

অক্টোবরের শেষ সপ্তাহতেই আসতে চলেছে দুর্গাপুজো। তারপর দিওয়ালি সহ একে একে নানাবিধ উৎসব অনুষ্ঠান। ফেসটিভ সিজেন উপলক্ষে ইভির বিক্রি অন্য মাত্রায় পৌছবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। পরিবেশ দূষণের প্রতিকারে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার যে মোক্ষম অস্ত্র তা নিঃসন্দেহে দাবি করা যায়। আলোর অপর প্রান্তে যেমন থাকে অন্ধকার তেমন বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ভালোর সাথে রয়েছে কিছু খারাপ দিকও। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী।

ইলেকট্রিক ভেহিকেলের ভালো ও খারাপ দিক

ট্যাক্সের ছাড়

ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে ব্যবহার করার জন্য যে কোনো ইলেকট্রিক ভেহিকেল কিনলে রয়েছে কর ছাড়ের সুযোগ। চলতি বছরের বাজেট ঘোষণার সময় অর্থমন্ত্রী এই বিষয়ে আলোকপাত করে জানিয়েছেন যে 80EEB সেকশনের অন্তর্গত নিয়ম অনুযায়ী বৈদ্যুতিক যানবাহন কেনার ক্ষেত্রে গৃহীত লোনের উপর সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত একজন গ্রাহক তার ট্যাক্সে ছাড় পাবেন।

স্বল্প রক্ষণাবেক্ষণ খরচ

একটি ইভির মধ্যে আর পাঁচটি জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ির তুলনায় অতি অল্প যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর ফলে ব্যাটারি গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেশ কম। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যেখানে প্রতি বছর একটি ইলেকট্রিক ভেহিকেল যত্নআত্তিতে খরচ ১০০০-২০০০ টাকার মধ্যে সেখানে একটি পেট্রোল চালিত গাড়ির বছর প্রতি রক্ষণাবেক্ষণ করতে ব্যয় হয় ৪০০০-৫০০০ টাকা।

ইন্সুরেন্স বাবদ অতিরিক্ত খরচ

একটি বৈদ্যুতিক যানবাহনের মধ্যে সবচেয়ে দামি অংশ হলো তার ব্যাটারি। এই কারণেই পেট্রোল ডিজেল চালিত সাধারণ গাড়ির ইনসিওরেন্স বাবদ বার্ষিক প্রিমিয়ামের তুলনায় ইভিতে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়। মূলত ব্যাটারির কভারেজের জন্যই অতিরিক্ত খরচ।

ব্যাটারির খরচ

আগেই বলেছি যে কোনো ইলেকট্রিক ভেহিকেলের ক্ষেত্রে তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান অংশ হল ব্যাটারি। কোনো কারণবশত এই ব্যাটারি নষ্ট হলে তা রিপেয়ার করার কোন সম্ভাবনাই অবশিষ্ট থাকে না। তখন একমাত্র উপায় তা পরিবর্তন করা। সাধারণত প্রিমিয়াম ফোর-হুইলারের জন্য ৪ লক্ষ টাকার বেশি খরচ করতে হয়। দুই চাকার ক্ষেত্রে এই খরচের পরিমাণ প্রায় ৫০,০০০ টাকা।

অল্প রিসেল ভ্যালু

মোটরসাইকেল কিংবা ফোর হুইলার কিনে কয়েক বছর ব্যবহার করার পরই তা বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন অনেকে। এক্ষেত্রে আপনাকে জানিয়ে রাখি ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিন (ICE) যুক্ত গাড়ির তুলনায় রিসেল ভ্যালু অনেকটাই কম। আসলে ব্যবহারের সাথে সাথেই গাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্যাটারির ক্ষয় সাধন হতে থাকে। সেই কারণেই রিসেল ভ্যালুর গ্রাফ থাকে নিম্নমুখী।

চার্জিং

ইলেকট্রিক গাড়ির ক্ষেত্রে চার্জিং আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাধারণভাবে নিজের বাড়িতে চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও রাস্তাঘাটে ব্যবহারের উপযুক্ত চার্জিং পরিকাঠামো এখনো পর্যন্ত অমিল। ফলে রাস্তায় চার্জ ফুরিয়ে গেলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাছাড়া এই ধরনের গাড়ি চার্জ হতেও ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নেয়। যদিও তার জন্য ফাস্ট চার্জার এসে গিয়েছে। কিন্তু পেট্রল-ডিজেল গাড়িকে টেক্কা দেওয়ার জন্য ইলেকট্রিক ভেহিকেলকে এখনও অনেকটা পথ চলতে হবে।

সঙ্গে থাকুন ➥