Solar Auto: দিনে 1500 টাকা ইনকাম, ইউটিউব ভিডিয়ো দেখেই বাজিমাত অটো চালকের
পেট্রোল-ডিজেলের অগ্নিমূল্য থেকে নিষ্কৃতি পেতে অনেকেই ব্যাটারি চালিত যানবাহনের দিকে ঝুঁকছেন। নতুন গাড়ি বা টু-হুইলার কিনতে না পারলেও, সেটি বৈদ্যুতিক ভার্সনে পরিবর্তিত করার হিড়িক দেখা দিয়েছে এ দেশে। যাত্রীবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে অনেকেই ইলেকট্রিক কিট বসিয়ে কাজ চালাচ্ছেন। তবে একটি বৈদ্যুতিক গাড়িকে সৌর বিদ্যুৎ চালিত ভার্সনে রূপান্তরিত করার দৃষ্টান্ত নিতান্তই বিরল। এবার তেমনটাই করে দেখালেন ওড়িশার এক অটোচালক। শ্রীকান্ত পাত্র নামক ওই ব্যক্তি তাঁর ইলেকট্রিক অটোকে সোলার বা সৌরশক্তি চালিত মডেলে বদলে ফেলেছেন। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই অসংখ্য মানুষের বাহবা পেয়েছেন শ্রীকান্ত।
সৌরশক্তিতে চালিত অটোরিকশা বানিয়ে চমক লাগালেন ওড়িশার ব্যক্তি
তবে কেন তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন সেই প্রসঙ্গে শ্রীকান্তর ব্যাখ্যা, তাঁর ব্যাটারি চালিত তিন চাকার গাড়িতে চার্জিং সম্পর্কিত নানান সমস্যা ও কম রেঞ্জের জন্য তিনি সৌরশক্তিতে চলার সহায়ক মডেল হিসেবে গড়ে তুলেছেন এটি। সোলারের মতো প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে বিভিন্ন সময়ে ইউটিউবে ভিডিয়ো দেখতেন তিনি।
ওড়িশার ভুবনেশ্বরের বাসিন্দা ৩৫ বছরের শ্রীকান্ত সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, “বিগত ১৫ বছর ধরে আমি অটো রিকশা চালিয়ে আসছি। জ্বালানি খরচ বাদ দিয়ে ডিজেল ইঞ্জিনের অটো চালিয়ে দিনের শেষে ৩০০-৪০০ টাকা রোজগার হতো।” সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পর এই যৎসামান্য আয়ে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে উঠেছিল। যে কারণে তিনি একটি ইলেকট্রিক অটো কেনার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তাতেও দেখা যায় নানাবিধ সমস্যা।
শ্রীকান্ত বলেন, “দেড় বছর আগে আমি একটি ইলেকট্রিক অটোরিকশা কিনি। কিন্তু লো ব্যাটারি এবং চার্জিংয়ের সমস্যা দিনকে দিন বড় আকার ধারণ করে। ফলে ক্রেতাদের পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়ে। তাই দিনের বেলাতেই কেবল অটো চালাতে পারতাম।” এমতাবস্থায় শ্রীকান্তের জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে ক্লাস সিক্সে পাঠরতা তাঁর মেয়ে। সে তার বাবাকে ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে অটো রিকশাটি সৌরশক্তিতে চালিত মডেলে বদলে ফেলার বুদ্ধি দেয়।
শ্রীকান্ত জানান, “আমি মেয়ের বুদ্ধির তারিফ করছি। সেই আমায় ইলেকট্রিক অটোরিক্সাকে সৌর বিদ্যুতে চালিত ভেহিকেলে বদলে ফেলার ধারণা দেয়। এখন আমি বারবার ব্যাটারি চার্জ করানো এবং জ্বালানি ভরানোর সমস্যা থেকে মুক্ত। নিখরচে চলতে সক্ষম এই অটোরিকশাটি পরিবেশবান্ধব।” শ্রীকান্তর এই অটোরিকশা একবার পুরো চার্জে ১৪০ কিলোমিটার পথ চলতে সক্ষম। একইসাথে তার প্রত্যহ রোজকার বেড়ে ১৩০০-১৫০০ টাকা হয়েছে।