Electric Scooter: একবার দেখলেই চালাতে ইচ্ছা করবে, 120 কিমি মাইলেজের ইলেকট্রিক স্কুটার এল বাজারে

মা দুর্গা যেমন তার দশ হাতে অশুভ শক্তি দমন করেছেন তেমনভাবেই “পরিবেশ দূষণ” নামক অসুরকে পরাস্ত করতে আমাদের প্রধান হাতিয়ার পরিবেশবান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থা। জীবাশ্ম জ্বালানির দহন কমিয়ে গ্রীনহাউস গ্যাসের পরিমাণ কমাতে হবে আমাদের। এই কাজে প্রধান ভূমিকা নিতে পারে বৈদ্যুতিক যানবাহন। গোটা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতের বাজারেও নিত্যনতুন ইলেকট্রিক ভেহিকেল লঞ্চ হতে দেখা যাচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ চীন বরাবরই প্রযুক্তিবিদ্যায় পথপ্রদর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। সে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দুই চাকা নির্মাণকারী সংস্থা QJMotor সম্প্রতি সামনে এনেছে স্টাইলিশ দেখতে TQ ইলেকট্রিক স্কুটার। ফুল চার্জে এটি ১২০ কিমি পথ ছুটবে বলে দাবি করা হয়েছে।। চলুন ই-স্কুটারটির খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া যাক।

QJMotor TQ: ভ্যারিয়েন্ট ও মোটর

মোটরের ক্ষমতা অনুযায়ী তিনটি ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ QJMotor TQ। এর মধ্যে প্রথমটি ১.১ বিএইচপি ক্ষমতা সম্পন্ন, দ্বিতীয়টি ১.৪ বিএইচপি এবং তৃতীয় মডেলটি সবচেয়ে শক্তিশালী। এতে চালিকাশক্তি প্রদান করে ৩.৪ বিএইচপি ক্ষমতাসম্পন্ন ইলেকট্রিক মোটর। স্কুটারটি স্লো স্পিড এবং হাই স্পিড ভার্সনে উপলব্ধ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রতিটি ভ্যারিয়েন্টে রিয়ার হাব মোটর ও তিন রকমের ব্যাটারি অপশন থাকছে। বেস মডেলের দাম খানিকটা কম হওয়ার কারণে সাধারণ লেড অ্যাসিড ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। তবে টপ ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে থাকছে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। সম্পূর্ণ চার্জে এই ব্যাটারি প্রায় ১২০ কিমি রাস্তা অতিক্রম করতে সাহায্য করবে।

QJMotor TQ: হাইলাইটেড ফিচার

এবারে আসি TQ এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলির দিকে।সেন্সর যুক্ত হেড ল্যাম্প এবং অ্যাম্বিয়েন্ট লাইটিং বেশ আকর্ষণীয়। এছাড়াও রিভার্স গিয়ার, অটোমেটিক লকিং সহ রয়েছে মাল্টি অ্যাক্সিস সেন্টার। ই-স্কুটারটি ১৫০ কেজি পর্যন্ত ওজন বহনে সক্ষম। সামনের ও পিছনের দিকে যথাক্রমে ১২ ইঞ্চি ও ১০ ইঞ্চি টায়ার দেখতে পাওয়া যায়। ব্রেকিং এর দায়িত্ব সামলাতে উভয় চাকাতেই ডিস্ক ব্রেক বিদ্যমান।

এখনো পর্যন্ত QJMotor-এর তরফে তাদের এই নতুন স্কুটারটির দাম ঘোষণা হয়নি। জানিয়ে রাখি, এই মুহূর্তে ভারতের আদিশ্বর অটো রাইড ইন্ডিয়ার সাথে যৌথভাবে নিজেদের তৈরি বিভিন্ন টু-হুইলার মডেল বিক্রি করে থাকে চীনের এই সংস্থা। তাই ভবিষ্যতে TQ বৈদ্যুতিক স্কুটারটি ভারতেও লঞ্চ হতে পারে বলে অনুমান।