Classic 350-এর সঙ্গে নতুন লঞ্চ হওয়া Bullet 350-র প্রচুর মিল, ইঞ্জিনও এক, জানেন সেটা?
দীর্ঘ দিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভারতের প্রাচীনতম রেট্রো মোটরসাইকেল Royal Enfield Bullet 350 নয়া সংস্করণে লঞ্চ হয়েছে। দাম রাখা হয়েছে ১.৭৩ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। নতুন মডেলে একাধিক আপডেট দেওয়া হয়েছে। ডিজাইনে সেভাবে কোন পরিবর্তন দেখা না গেলেও, অত্যাধুনিক ফিচারে ভরপুর হয়ে এসেছে নয়া Bullet 350। কিন্তু এটি লঞ্চের পর অসংখ্য ক্রেতা Classic 350-সাথে বুলেট-কে গুলিয়ে ফেলছেন। কোনটি কিনলে নিজের সাধ মিটবে, তা বুঝতে কার্যত সমস্যা হচ্ছে। এই প্রতিবেদনে সেই বিভ্রান্তি সম্পূর্ণ ভাবে মেটানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত চোখ রাখুন।
Royal Enfield Bullet 350 vs Classic 350 – বৈসাদৃশ
প্রথমেই আসি মোটরসাইকেল দুটির মধ্যে পার্থক্যের বিষয়ে। মডেল দুটির সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ফারাক হিসেবে রয়েছে এদের ডিজাইন। নতুন বুলেট ৩৫০-এ রয়েছে একটি গোলাকৃতি হেডলাইট, লম্বা হ্যান্ডেল বার এবং Classic 350-র থেকে ভিন্ন সাইড প্যানেল। বুলেট ৩৫০-এ রাউন্ড সাইড প্যানেল অনুপস্থিত।
এছাড়াও দুটি মডেলের রিয়ার ফেন্ডারে তফাৎ রয়েছে। ক্লাসিক ৩৫০-এ আছে একটি রাউন্ড রিয়ার মাডগার্ড। যেখানে Bullet 350 আয়তাকার ফেন্ডার পেয়েছে। এতে উপস্থিত সিঙ্গেল পিস সিট। যেখানে ক্লাসিকের সিটটি ডুয়েল ইউনিট। আবার বুলেট ৩৫০ পাঁচটি রঙের বিকল্পে অফার করা হয়েছে। যার মধ্যে তিনটি রয়্যাল এনফিল্ডের আইকনিক পিনস্ট্রিপ পেয়েছে। যেখানে ক্লাসিক ৩৫০-এ এমন কোন বৈশিষ্ট্য উপলব্ধ নেই। আবার পুরনো ভার্সনের মতো নতুন বুলেট ৩৫০-এর ট্যাঙ্কে সংস্থার লোগো দেখা গেছে।
Royal Enfield Bullet 350 vs Classic 350 – সাদৃশ
সাদৃশ্য প্রসঙ্গে বললে উভয় মোটরসাইকেল একই ফ্রেম, সামনে ১৯ ইঞ্চি ও পেছনে ১৮ ইঞ্চি টায়ার, স্পোক হুইল, ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সহ দুই চাকায় ডিসক্রেক অথবা সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সহ পেছনে ড্রাম ব্রেক সমেত এসেছে। উভয় বাইকে সমান ফুয়েল ট্যাঙ্ক এবং সাসপেনশন উপলব্ধ।
ক্লাসিক ৩৫০-র মতোই এবারে বুলেটে দেওয়া হয়েছে J-সিরিজ ইঞ্জিন। যা Hunter 350 ও Meteor 350-তেও উপলব্ধ। তাই এদের আউটপুটও সমান, ২০ বিএইচপি ও ২৭ এনএম টর্ক। আবার আছে ৫-গতির গিয়ার। দুটি মোটরসাইকেলে একই ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল ও ডিজিটাল ক্লাস্টার বর্তমান। এছাড়া রয়েছে সমান সুইচ গিয়ার। আবার ট্রিপার নেভিগেশন উভয় বাইকে বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া যায়।