ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারি পাল্টাতে খরচ জানেন কত ? Tata Nexon EV মালিকের কাহিনী শুনলে ওদিকে আর ফিরে তাকাবেন না
বর্তমানে ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে একচ্ছত্র আধিপত্য রয়েছে Tata Nexon EV -র। সম্প্রতি বেশি রেঞ্জের মডেল Nexon EV Max বাজারে এলেও এখনও বেস্ট-সেলিং গাড়ি Nexon EV। ইলেকট্রিক হওয়ায় কারনে জ্বালানি তেল ভরানোর খরচ শূন্য। কিন্তু ব্যাটারির আয়ু নিয়ে গ্রাহকদের দুশ্চিন্তা থাকে বৈকি। অর্থাৎ ব্যাটারিটি অচল হলে সেটি বদলানোর খরচ চাপে ক্রেতার কাঁধে। সম্প্রতি Tata Nexon EV-র ব্যাটারি সম্পর্কিত তাজ্জব করা খবর সামনে এসেছে। কী শুনবেন?
টাটা নেক্সন ইভি-র এক মালিক সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। সেখানে ওই ব্যক্তি লিখেছেন, গত দু’বছরে তিনি তাঁর নেক্সন ইভি গাড়িটি মোট ৬৮,০০০ কিমি চালিয়েছেন। কিন্তু তার পর থেকেই ব্যাটারিতে গোলযোগ দেখা দেয়। রেঞ্জ কমে আসতে শুরু করে। এমনকি ১৫ শতাংশের কম চার্জ থাকলে গাড়ি দৌড়য় না বলে অভিযোগ তাঁর।
ব্যাটারির এই অদ্ভুত আচরণ দেখে তিনি টাটার ডিলারশিপে যোগাযোগ করেন। ব্যাটারিটি ওয়ারেন্টি পিরিয়ডের মধ্যে থাকায় সেটি সংস্থার তরফে নিখরচায় বদলে দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরই আসল ঘটনা। তিনি কৌতুহলবশত নতুন ব্যাটারির দাম জানতে চান এক কর্মীর কাছে। জবাবে তাঁকে বলা হয় একটি নতুন ব্যাটারির মূল্য ৭,০০,০০০ টাকা। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন! ৭ লক্ষ টাকা। যে টাকায় ভারতে একটি নতুন কম্প্যাক্ট SUV গাড়ি যখন তখন বাড়ি নিয়ে আসা যায়।
ফেসবুক পোস্টে ওই ব্যক্তি ব্যাটারির দাম ৭ লক্ষ টাকা জানানোর পরই বিভিন্ন মহলে রীতিমতো হৈচৈ শুরু হয়ে যায়। যদিও দামের এই প্রসঙ্গ টাটা মোটরসের তরফে অফিশিয়ালি জানানো হয়নি। তবে এটি যদি সত্যি হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে অনেকেই মনে করছেন, অ্যাপেলের একটি দামি Mac Pro কম্পিউটারের দাম পড়ে ৫০ লাখ টাকা। সেখানে বৈদ্যুতিক গাড়ির ৩০.৩ কিলোওয়াট আওয়ার ক্ষমতার একটি ব্যাটারির দাম ৭ লক্ষ টাকা হওয়া বাঞ্ছনীয়।
প্রসঙ্গত, টাটা মোটরস তাদের Nexon EV-র ব্যাটারির উপর ৮ বছর অথবা ১.৫ লাখ কিমি (যেটি আগে হবে) ওয়ারেন্টি অফার করে। সে কারণে ওই ব্যক্তিকে এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বদলে দেওয়া হয়। তিনি জানান নতুন ব্যাটারি লাগানোর পর গাড়িটি ব্র্যান্ড নিউ বলে মনে হচ্ছে।