টপ স্পিড ঘন্টায় 200 কিমি, Ultraviolette F99 ই-বাইক গতির রেকর্ড তছনছ করতে এন্ট্রি নিল
ভারতের ইলেকট্রিক টু-হুইলারের বাজারে উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে গত বছর নভেম্বরে পা রেখেছিল Ultraviolette F77 ইলেকট্রিক স্পোর্টস বাইক। যার গতি অসংখ্য পেট্রল চালিত মোটরসাইকেলকে লজ্জায় ফেলেছে। এবার আল্ট্রাভায়োলেট (Ultraviolette) অটো এক্সপো-র মঞ্চে তাদের আরও আধুনিক ও শক্তিশালী F99 Factory Racing Platform-এর উপর থেকে পর্দা সরালো। এটি একটি ব্যাটারি চালিত রেসিং বাইক। F77-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি হলেও, ধার ও ভারে বাইকটি তার পূর্বজকেও পেছনে ফেলবে। এমনটাই সংস্থা সূত্রে দাবি। আপগ্রেডে করা মোটর, কন্ট্রোলার এবং ব্যাটারি প্যাক আরও বেশি শক্তি এবং পারফরম্যান্স প্রদান করবে একে।
আল্ট্রাভায়োলেট এফ৯৯ ফ্যাক্টরি রেসিং প্ল্যাটফর্ম বাইকটিতে কার্বন ফাইবারের যন্ত্রাংশ দেওয়া হয়েছে। কার্যত এই হাই-স্পিড মডেলটির মাধ্যমে রেসিংয়ের দুনিয়ায় বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপের যাত্রা শুরু হল। F99-এ ব্যবহৃত পাওয়ারট্রেনটি নিজের সাধ্যের সর্বোচ্চ শক্তি উৎপাদন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এটি থেকে ৬৫ বিএইচপি ক্ষমতা উৎপন্ন হবে এবং প্রতি ঘন্টায় সর্বাধিক ২০০ কিলোমিটার গতিবেগ তুলতে পারবে বলে সংস্থার দাবি।
উচ্চমানের Ultraviolette F99-এ কাস্টমাইজেশনের ব্যবস্থা উপলব্ধ থাকছে। যেগুলি চালককে রাইডিংয়ের ভঙ্গিমাতে সাহায্য করবে। সংস্থার সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও নারায়ণ সুব্রমানিয়াম বলেন, “F99 Factory Racing Platform প্রথাগত ইভি প্রযুক্তির বাইরে ভাবতে আমাদের বাধ্য করেছে। ভবিষ্যতে ক্রেতাদের সামনে বাইকটি নিজের উদ্ভাবনী জাহির করার বিষয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী। বিমান চালনার বিদ্যা এবং রেসিংয়ের নীতির সংমিশ্রণের ফলে তৈরি মডেলটিকে আমরা সর্বাধুনিক ইলেকট্রিক ভেহিকেল হিসেবে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করতে চাইছি।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি লঞ্চ হওয়া Ultraviolette F77 বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেলটি দেশের দ্রুততম বৈদ্যুতিক বাইক হিসেবে এসেছে। আল্ট্রাভায়োলেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিটিও নিরজ রাজমোহন বলেন, “F77-এর প্রতি ক্রেতাদের ব্যাপক সাড়া মেলার ফলাফল হিসেবে বিশ্বমানের প্রযুক্তি এবং ইন্ডাস্ট্রির প্রথম ফিচার যুক্ত মডেলটি আনতে পেরেছি। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হল সেরা প্রযুক্তি প্রদান করা।”