সবুজ ভবিষ্যতের লক্ষ্যে Honda-র বড় ঘোষণা, Activa Electric স্কুটার লঞ্চ করবে এই সময়ে

Avatar

Updated on:

Honda launch two Electric Two Wheeler in FY2024

কথা মতই হোন্ডা মোটরসাইকেল অ্যান্ড স্কুটার ইন্ডিয়া বা এইচএমএসআই (HMSI) আজ তাদের ইলেকট্রিক টু-হুইলার লঞ্চের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার রূপরেখা প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি তাদের ‘প্রোজেক্ট বিদ্যুৎ’ নামক প্রকল্পের আওতায় ২০২৩-২০২৪ আর্থিকবর্ষে ভারতে একজোড়া ব্যাটারি চালি দু’চাকা গাড়ি লঞ্চেঞ্চের কথা নিশ্চিত করেছে। প্রথমটি হবে একটি ধীরগতির ও মাঝারি রেঞ্জের টু-হুইলার, যেখানে দ্বিতীয়টি হচ্ছে সোয়াপেবেল ব্যাটারি প্রযুক্তি সমেত একটি স্কুটার, যার নাম হতে পারে Activa Futuristic। প্রথম মডেলটি স্কুটার, নাকি বাইক – সে বিষয়ে অবশ্য খোলসা করেনি হোন্ডা।

Honda-র ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

জাপানি টু-হুইলার ব্র্যান্ড হোন্ডা (Honda) ঘোষণা করেছে যে, তাদের ইভি রোডম্যাপ তিনটি ই নির্ভর – Factory E, Platform E এবং Workshop E। হোন্ডা কর্নাটকের আলাদা ইলেকট্রিক টু-হুইলার উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলবে। সেখানে ২০৩০-এর মধ্যে বার্ষিক ১০ লক্ষ মডেল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। অ্যাডভান্সড অটোমেশন প্রযুক্তি সম্বলিত ফ্যাক্টারিটি ১০০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি দ্বারা পরিচালিত হবে।

এই প্রসঙ্গে হোন্ডা বলেছে, নতুন কারখানায় তৈরি হতে চলা ইলেকট্রিক ভেহিকেলগুলির ব্যাপক পরিমাণে স্থানীয়করণ করা হবে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ব্যাটারি এবং পিসিইউ ব্যবহার করা হবে এতে। এমনকি ডিজাইন এবং উন্নয়নের কাজও এদেশেই সম্পন্ন করবে হোন্ডা। কেবলমাত্র ইভি মডেলের জন্য তৈরি প্ল্যাটফর্মটির নাম – ‘প্ল্যাটফর্ম ই’। এতে ফিক্সড এবং সোয়াপেবল – উভয় প্রকার ব্যাটারির মডেল নির্মাণ তোলা যাবে।

বর্তমানে এদেশে হোন্ডার ৬,০০০ টাচপয়েন্ট রয়েছে। যেগুলির প্রতিটিতেই ইভি চার্জিং পরিকাঠামো, ব্যাটারি সোয়াপিং পয়েন্ট এবং চার্জিং টেবিল বসানো থাকবে। আবার পেট্রোল পাম্প, মেট্রো স্টেশন এবং অন্যান্য পাবলিক লোকেশন থেকে হোন্ডা ক্রেতাদের ব্যাটারি সলিউশন অফার করতে পারে। এর অর্থ সংস্থাটি তাদের বর্তমান ডিলারশিপ থেকেই ইলেকট্রিক ভেহিকেল বিক্রি করবে।

হোন্ডা মোটরসাইকেল অ্যান্ড স্কুটার ইন্ডিয়া-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর, সভাপতি এবং সিইও আতসুশি ওগাতা বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ২০৪০-এর মধ্যে কেবল ইলেকট্রিক ভেহিকেল এবং ফুয়েল সেল ভেহিকেল বিক্রি করা। পাশাপাশি ফ্লেক্স ফুয়েল ইঞ্জিন আনার মাধ্যমে পেট্রল চালিত ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা বাড়ানো হবে।”

সঙ্গে থাকুন ➥