Bajaj Avenger থেকে RE Hunter 350, সাধ্যের মধ্যে সেরা ক্রুজার বাইক এগুলি

আজকালকার আধুনিক দিনে নিজের পছন্দের বাইকে সওয়ার হয়ে পছন্দের গন্তব্যে পাড়ি দেওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা। বেশ কয়েক বছর ধরে তো দুই চাকায় চড়ে লাদাখ কিংবা সিকিম যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে কয়েকগুণ। অনেকে তো আবার বিভিন্ন বাইকার্স ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দুই চাকাকে সঙ্গী করেই চষে ফেলছেন কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। তবে একটানা দীর্ঘ রাস্তা স্বাচ্ছন্দের সাথে পাড়ি দিতে গেলে প্রয়োজন একটি ঠিকঠাক ক্রুজার বাইকের। আরামদায়ক বসার ভঙ্গি আর শক্তিশালী ইঞ্জিন এই দুটি বিষয় থাকা প্রয়োজন একটি আদর্শ ক্রুজারে। ভারতের বাজারে রয়েছে এমন বিভিন্ন দামের ক্রুজার বাইক। এই প্রতিবেদনে ১ লাখ ১২ হাজার থেকে দাম শুরু হওয়া সেরা ৫ ক্রুজার বাইকের সন্ধান রইল।

Bajaj Avenger 160 Street (এক্স শোরুম দাম ১.১২ লাখ টাকা)

সাশ্রয়ী মূল্যের ক্রুজার খুঁজতে গেলে প্রথমেই নাম আসে বাজাজ অ্যাভেঞ্জার এর। দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতবাসীর বিশ্বস্ত সঙ্গী এই অ্যাভেঞ্জার। Avenger 160 Street বাইকটির আরামদায়ক বসার ভঙ্গি এবং উঁচু করা হ্যান্ডেলবার আপনার দীর্ঘ রাস্তার চলার ক্লান্তিকে যথেষ্ট কমাতে সাহায্য করে। খানিকটা রেট্রো ডিজাইনের সাজ সরঞ্জাম সমৃদ্ধ এই বাইকটিতে রয়েছে প্রশস্ত হুইল বেস এবং খানিকটা সামনে রাখা ফুট পেগ।
Avenger 160 Street-কে চালিকাশক্তি যোগায় ১৬০ সিসির ইঞ্জিন যা থেকে ১৪ বিএইচপি শক্তি ও ১৩.৭ এনএম টর্ক উৎপাদিত হয়। বাইকটির সামনে রয়েছে ১৭ ইঞ্চির অ্যালয় হুইল, তবে পিছনে রয়েছে খানিকটা ছোট ১৫ ইঞ্চির চাকা। দুটি আলাদা রঙের অপশনে মিলবে এটি।

Bajaj Avenger Cruise 220 (এক্স শোরুম দাম ১.২২ ১.৩৮ লাখ টাকা)

বাজাজ অ্যাভেঞ্জার স্ট্রিটের খানিকটা বড় সংস্করণ হল Avenger Cruise 220। আগের বাইকটির মতো একই ধরনের বৈশিষ্ট্য থাকলেও এতে ক্রমের কাজ অনেকটাই বেশি। সাথে রয়েছে উঁচু করা উইন্ডস্ক্রিন। এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে ২২০ সিসির অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন যা থেকে উৎপন্ন হওয়া পাওয়ার ও টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ১৮.৭ বিএইচপি ও ১৭.৫ এনএম। আগের মডেলটিতে অ্যালয় হুইল থাকলেও এখানে রয়েছে স্পোক যুক্ত চাকা।

Royal Enfield Hunter 350 (এক্স শোরুম মূল্য ১.৬৯ লাখ টাকা)

এই মুহূর্তে আমাদের দেশে রয়্যাল এনফিল্ডের সবচেয়ে কমদামি বাইক হল এই নতুন হান্টার ৩৫০। গত বছরের আগস্টে লঞ্চ হওয়ার পর থেকেই ভারতবাসীর অত্যন্ত কাছের হয়ে উঠেছে এই ক্রুজার বাইকটি। হান্টার ৩৫০ এর অলিন্দে রয়েছে ক্লাসিক এবং মিটিয়রে ব্যবহার করা একই ৩৪৯ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনটি থেকে ২০.২ বিএইচপি পাওয়ার ও ২৭ এনএম টর্ক জেনারেট হয়। সাথে রয়েছে পাঁচটি ধাপের গিয়ার বক্স।

Yezdi Roadstar (এক্স শোরুম মূল্য ২ লাখ টাকা)

আজকের এই তালিকায় সবচেয়ে দামি ও অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ক্রুজার বাইক হল Yezdi Roadstar। ৩৩৪ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার লিকুইড কুল্ড প্রযুক্তির DOHC ইঞ্জিন একে চালিকাশক্তি যোগায়। এই ইঞ্জিনটি ৭৩০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ২৮ বিএইচপি শক্তি এবং ৬৫০০ আরপিএম গতিতে সর্বাধিক ২৯ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে পারে। ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সহ আরো নানা ধরনের উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে এতে।

Komaki Ranger ১.৭৪ লাখ টাকা (এক্স শোরুম)

যদি আপনি ক্রুজার বাইক সেগমেন্টে বৈদ্যুতিক অপশন খুঁজতে চান তবে অবশ্যই আপনার চাহিদা পূরণ করবে Komaki Ranger। হার্লে ডেভিডসনের অনুকরণে তৈরি এই ইলেকট্রিক বাইকে শক্তি ভান্ডার হিসেবে রয়েছে ৪ কিলোওয়াট আওয়ারের ব্যাটারি প্যাক। সাথে চলার শক্তি যোগাবে ৫.৩ বিএইচপি শক্তি উৎপাদনকারী বৈদ্যুতিক মোটর। নির্মাতার দাবি মত এটি প্রতি চার্জে ১৮০-২০০ কিমি পথ পাড়ি দিতে পারে। সাথে রয়েছে ব্লুটুথ সংযোজনের সুযোগ। Komaki Ranger-কে পেট্রল চালিত বাইকের অনুভূতি দিতে এতে ব্যবহার করা হয়েছে একটি আর্টিফিশিয়াল এগজস্ট পাইপ।