দামি দামি ফোন মিলবে জলের দরে, রিফারবিশড স্মার্টফোনের ব্যবসা ঢেলে সাজাচ্ছে Samsung

নয়া স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে বাজেট কম থাকলে, ফিচারের দিক থেকে আমাদের আপস করতে হয়। কিন্তু এমন একটি উপায় আছে, যার দরুন আপনারা ফিচারে ঠাসা একটি প্রিমিয়াম স্মার্ট মোবাইল অতিশয় সাশ্রয়ী মূল্যে কিনে নিতে পারবেন। আর এই উপায়টি হল একটি ‘রিফারবিশড’ বা সংস্কারকৃত স্মার্টফোন ক্রয় করা। এক্ষেত্রে, দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক টেক জায়ান্ট Samsung তাদের রিফারবিশড হ্যান্ডসেটের রি-নিউড (Re-Newed) লাইনের অধীনে Galaxy S20, S21, S10 এবং Note 20-সিরিজ অন্তর্গত একাধিক ফ্ল্যাগশিপ মডেল উপলব্ধ করেছে। তবে সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে দেওয়া বিবৃতি থেকে মনে হচ্ছে সংস্থাটি হয়তো তাদের রিফারবিশড ক্যাটাগরিতে নব্য প্রজন্মের S-সিরিজের মডেলকেও সামিল করার কথা ভাবছে।

Samsung শীঘ্রই তাদের রিফারবিশড স্মার্টফোন রেঞ্জের পরিসরকে বিস্তৃত করার ঘোষণা করলো

রিফারবিশড বা সংস্কারকৃত স্মার্টফোন কি?

আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো ‘রিফারবিশড ফোন’ শব্দের সাথে পরিচিত নন। তাদের জানিয়ে রাখি, রিফারবিশড বা সংস্কারকৃত স্মার্টফোন দু’প্রকারের হয়। যার মধ্যে একটি সেকেন্ড হ্যান্ড বা ব্যবহৃত ফোন। আর অপর প্রকারটি, নতুন হলেও তাতে ম্যানুফ্যাকচার জনিত ত্রুটি থাকে। দু’ক্ষেত্রেই এই সকল স্মার্টফোনকে প্রস্তুতকারকের কাছে ফেরত পাঠানো হয়। যারপর, প্রস্তুতকারক অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিকভাবে ফোনগুলির অবস্থা পরীক্ষা করে৷ আর, সমস্যাগুলি বুঝে নিয়ে মেরামত করে, যাতে ডিভাইসগুলি নতুনের মতো মনে হয়। তবে, ডিভাইসগুলি ‘সেকেন্ড-হ্যান্ড’ হওয়ায় বিক্রয় মূল্য তুলনায় কম রাখা হয়। এক্ষেত্রে, পুরোনো হওয়া বা ত্রুটি থাকা নিয়ে যদি আপনাদের মনে দ্বিধা তৈরি হয়, তবে বলে দিই, রিফারবিশড বা সংস্কারকৃত এই ফোনগুলি সংস্থা দ্বারা সার্টিফাইড হয় এবং বিক্রির সময়ে এগুলির সাথে ওয়ারেন্টিও দেওয়া হয়। ফলে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ফোনে কোনো সমস্যা দেখা দিলে আপনাকে অতিরিক্ত গ্যাঁটের কড়ি খরচ করতে হবে না।

যাইহোক, স্যামসাং তাদের রি-নিউড (Re-Newed) সেগমেন্টের অধীনে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি মডেল অফার করছে, যার মধ্যে সামিল রয়েছে – Galaxy S20 সিরিজ, Galaxy Note 20 সিরিজ, Galaxy S21, এমনকি Galaxy S10। এই মডেলগুলির প্রাপ্যতা অঞ্চলের উপর নির্ভর করে। অতএব দেখতছ গেলে, আলোচ্য সেগমেন্টে পুরোনো প্রজন্মের ফ্ল্যাগশিপ ফোন অন্তর্ভুক্ত করা হলেও, বর্তমান প্রজন্মের একটিও মডেল তালিকাভুক্ত করা হয়নি।

কিন্তু এবার হয়তো রি-নিউড সেগমেন্টে পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। কেননা, টেকরেডার (TechRadar) -কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে স্যামসাং স্বয়ং নিশ্চিত করেছে যে, অদূর ভবিষ্যতে তারা নতুন মডেল অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে রিফারবিশড বা সংস্কারকৃত স্মার্টফোন বিভাগের পরিসর সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা করছে৷ ফলে, আমরা আশা করতে পারি যে চলতি বছর লঞ্চ হওয়া Galaxy S22 লাইনআপকেও হয়তো শীঘ্রই রি-নিউড বিভাগে অফার করা হবে। আর যদি আমাদের এই অনুমান সঠিক হয়ে, তবে অতিশয় সাশ্রয়ী মূল্যে লেটেস্ট এস২২ লাইনআপের রিফারবিশড মডেলগুলিকে কেনার সুযোগ গ্রাহকদের যথেষ্টই আকর্ষিত করবে৷

দ্রষ্টব্য : এমন অনেক থার্ড পার্টি কোম্পানি রয়েছে যারা মূল এমআরপির চেয়ে কম দামে রিফারবিশড বা সংস্কারকৃত স্মার্টফোন অফার করে থাকে। তবে আমাদের মতে, এই প্রলোভনে পা না দিয়ে বরং Apple বা Samsung -এর মতো সার্টিফাইড ব্র্যান্ড দ্বারা অফার করা রি-নিউড মডেল কেনা অধিক সুরক্ষিত।