EV Portal: বৈদ্যুতিক গাড়ির সুবিধা ও দাম নিয়ে সব তথ্য মিলবে এক ক্লিকে, নতুন পোর্টালের সূচনা

রাজ্যবাসী যাতে বৈদ্যুতিক যানবাহন নির্ঝঞ্ঝাটে ক্রয় করতে পারেন সেজন্য নতুন পদক্ষেপ নিল কর্ণাটক সরকার। নীতি আয়োগ (NITI Aayog) ও ব্রিটেন সরকারের সাথে যৌথ উদ্যোগে বেঙ্গালুরুতে বৈদ্যুতিক যানবাহনের ‘ইভি জাগরুথি’ (EV Jagruthi) নামে একটি ওয়েব পোর্টাল খুলল রাজ্য সরকার। যেখান থেকে যে কোনো মডেলের বৈদ্যুতিক গাড়ি ও টু-হুইলার সম্পর্কে বিশদে তথ্য জানা যাবে। আসলে বাজারে নতুন বৈদ্যুতিক যানবাহন কেনার আগে বহু মানুষ সঠিক তথ্যের অভাবে দিকভ্রান্ত হন। অন্ধকারে গ্রাহকদের যাতে না হাতরাতে হয় তাই এই পোর্টাল চালু করা হয়েছে।

পোর্টাল থেকে নির্দিষ্ট মডেলের গাড়ির ওপর ভর্তুকির পরিমাণ কত, তাও জানা যাবে। এই পোর্টালটি লঞ্চ করেছেন কর্নাটকের শক্তি মন্ত্রী ভি সুনীল কুমার এবং ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালেক্স এলিস। সুনীল কুমার বলেন, “বেঙ্গালুরু এবং কর্নাটকের অন্যান্য অংশে বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়াতে রাজ্য সরকার প্রচার চালাচ্ছে। আমরা ২৩-৩০ জুন রাজ্য জুড়ে একটি অভিযান লঞ্চ করতে চলেছে। যেখানে রাজ্যব্যাপী চার্জিং সেন্টার তৈরি করা যায়। বর্তমানে আমাদের ১,০০০-এর বেশি চার্জিং স্টেশন রয়েছে এবং আশা করি আগামী দিনে ৩,০০০ চার্জিং স্টেশন তৈরি করতে পারব।”

ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালেক্স এলিস বলেন, “বর্তমান বিশ্বে বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রচারে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কারণ ভারত আজ যা করছে তা নির্ধারণ করবে জনসংখ্যার আকার অর্থনীতি এবং যে হারে এটি বাড়ছে, তার ভিত্তিতে বিশ্বের কী হবে। ব্রিটেন বৈদ্যুতিক গাড়িতে প্রসার আনতে ভারতের সাথে অংশীদারিত্বে উৎসাহী, বিশেষত কর্নাটক সরকারের সাথে। কারণ বেঙ্গালুরু ক্রমবর্ধনশীল শহরের তালিকায় মধ্যে নাম তুলেছে।”

বেঙ্গালুরুকে বিশ্ব বৈদ্যুতিক গাড়ির লাইট হাউস শহর হিসেবে পরিণত করতে এদিন একটি রূপরেখা প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে বর্তমানে এই পথে প্রধান বাধার রূপ নিয়েছে বেঙ্গালুরুতে বৈদ্যুতিক গাড়ি অধিক জনপ্রিয় করে তোলা। এই প্রসঙ্গে শক্তি দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব জি কুমার নায়েক বলেন, “বেঙ্গালুরুকে বৈদ্যুতিক গাড়ির লাইট হাউস শহর হিসেবে গড়ে তোলার পেছনের উদ্দেশ্য যাতে ভারতের মধ্যে একে মডেল সিটি হিসেবে তৈরি করা যায়।” এখনো পর্যন্ত বেঙ্গালুরুতে ১৩৬টির বেশি চার্জিং স্টেশন তৈরি করেছে Bescom। যেগুলি প্রতিমাসে ৬,০০০-এর বেশি লেনদেন এবং ২.৫ লক্ষ টাকার ৩০,০০০ কিলোওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ বিক্রির সাক্ষী থাকছে।