পেট্রল বা ইলেকট্রিক কিনতে চান না? Tata ও Maruti-র মধ্যে কার CNG গাড়ি বেস্ট হবে

Tata Punch CNG সদ্য এদেশের বাজারে লঞ্চ হয়েই Maruti Suzuki Fronx CNG-এর সাথে টক্কর নিতে শুরু করেছে। যদিও মারুতি সুজুকির মডেলটিও ক’মাস আগেই বাজারে এসেছে। এখন বিষয় হচ্ছে গাড়ি দুটির মধ্যে কোনটি কিনলে অধিক লাভবান হওয়া যাবে। এই বিভ্রান্তিতে দিন কাটছে বহু আগ্রহী ক্রেতার। এই প্রতিবেদনে তারই উত্তর খোঁজা হল।

ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন

Tata Punch CNG-তে উপস্থিত একটি থ্রি-পয়েন্ট ১.২ লিটার ইঞ্জিন। সিএনজি মোডে যা থেকে সর্বোচ্চ ৭২.৫ এইচপি শক্তি এবং ১০৩ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। যেখানে Maruti Suzuki Fronx CNG-এর ১.২ লিটার ফোর সিলিন্ডার মোটর থেকে সর্বাধিক ৭৬ এইচপি শক্তি এবং ৯৮.৫ এনএম টর্ক পাওয়া যাবে। উভয় মডেলের পাঁচ গতির ম্যানুয়াল গিয়ারবক্স অফার করা হয়েছে। এক কেজি জ্বালানিতে Punch CNG ২৬.৯৯ কিমি এবং Fronx CNG ২৮.৫১ কিমি মাইলেজ প্রদান করবে বলে দাবি করা হয়েছে।

ফিচার্স

ফিচারের প্রসঙ্গে বললে Fronx CNG-তে দেওয়া হয়েছে ইলেকট্রিক্যাল অ্যাডজাস্টেবল এবং ফোল্ডেবল ORVM, কিলেস এন্ট্রি, স্টিয়ারিং মাউন্টেড কন্ট্রোল, অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং অ্যাপেল কার-প্লে সমেত একটি ৭ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম, ইএসপি, হিল হোল্ড অ্যাসিস্ট, ডুয়েল এয়ারব্যাগ ইত্যাদি।

যেখানে Tata Punch CNG-তে উপস্থিত একটি ৭ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম, রেইন সেন্সিং ওয়াইপার, অটো হেডল্যাম্প, ১৬ ইঞ্চি ডায়মন্ড কাট অ্যালয় হুইল। এছাড়া রয়েছে ভয়েস অ্যাসিস্টেড সানরুফ – যা Fronx CNG-তে অনুপস্থিত। সুরক্ষাজনিত বৈশিষ্ট্যের তালিকায় রয়েছে ডুয়েল এয়ারব্যাগ, ইবিডি সহ এবিএস ও কর্নার স্টেবিলিটি কন্ট্রোল। আবার ডুয়েল সিলিন্ডার সেটআপ থাকায় ২১০ লিটার বুট স্পেস মিলবে, যা সবচেয়ে বড় সুবিধা।

দাম

Maruti Suzuki Fronx CNG দুই ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ – সিগমা ও ডেল্টা। এদের দাম যথাক্রমে ৮.৪১ লক্ষ টাকা ও ৯.২৮ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। Tata Punch CNG-এর দাম ৭.১০ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৯.৬৮ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) পর্যন্ত গিয়েছে। সবদিক বিবেচনা করলে Tata Punch CNG কিনলে বেশি লাভবান হওয়া যেতে পারে।