EV Fire incidents: ই-স্কুটারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ফরেন্সিক তদন্ত, গাফিলতি থাকলে সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্র
গত মাস অর্থাৎ মার্চে ভারতে বৈদ্যুতিক স্কুটারে আগুন লাগার পর পর চারটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে একটি দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নেয় দু’জন ভারতীয়ের। যেখানে পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমাতে কেন্দ্রীয় সরকার বারংবার বৈদ্যুতিক যানবাহন ব্যবহারের কথা বলে আসছে, সেখানে এহেন দুর্ঘটনা অশনি সংকেত বয়ে এনেছে। যা চিন্তায় ফেলেছে কেন্দ্রকে। তবে এক্ষেত্রে হাত গুটিয়ে বসে নেই কেন্দ্রীয় সরকার। সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari) সংশ্লিষ্ট ইলেকট্রিক ভেহিকেল নির্মাতাগুলির উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিলেন।
গডকড়ী জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার তদন্তে যদি সংস্থাগুলির কোনোরকম গাফিলতি ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্র। মার্চে এই অঘটনের পালাটি শুরু হয় মহারাষ্ট্রের পুণের লোহেগাঁও’তে ওলা এস১ প্রো (Ola S1 Pro) ইলেকট্রিক স্কুটারে আগুন লাগার সাথে। এরপর তামিলনাড়ুর ভেলোরে চার্জ চলাকালীন ওকিনাওয়া (Okinawa)-র বিদ্যুৎ চালিত স্কুটারের ব্যাটারিতে বিস্ফোরণ ঘটে মৃত্যু হয় বছর ৪৯-এর এক ব্যক্তি ও তাঁর ১৩ বছরের মেয়ের।
এই ঘটনার তিনদিন বাদে তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লী জেলাতে ফের একটি ইলেকট্রিক স্কুটারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এক সংবাদ সংস্থার তরফে দাবি করা হয় সেটি Okinawa-র ইলেকট্রিক স্কুটার। এরপরই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায় চেন্নাইয়ের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লাল রঙের ই-স্কুটার থেকে ঘন কালো ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে। দাবি করা হয় সেটি পিওর ইভি (Pure EV)-র ব্যাটারি চালিত স্কুটার।
যদিও ওলা ইলেকট্রিকের তরফে আগুন লাগার ঘটনাটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য সংস্থাগুলির তরফে ঘটনার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের অফিসিয়ালি ঘোষণা করা হয়নি। নিতিন গডকড়ী এ ব্যাপারে বলেন, “গত সপ্তাহে মোট চারটি বৈদ্যুতিক টু-হুইলারে আগুন লাগার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এটি খুবই গুরুতর বিষয়। প্রতিটি ঘটনা আগাগোড়া খতিয়ে দেখার জন্য আমরা ফরেনসিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। সেন্টার ফর ফায়ার এক্সপ্লোসিভ, ডিআরডিও (DRDO) এবং আইআইএসসি (IISc)-র বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করবেন।”
তিনি যোগ করেন, “আমরা বিশেষজ্ঞ দলের থেকে তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি। রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা বুঝতে পারবো দুর্ঘটনার নেপথ্যে আসল কারণ। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেব।” প্রসঙ্গত, ভারতের বাজারে উপলব্ধ বেশিরভাগ ইলেকট্রিক স্কুটার লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি সহ এসেছে। এই ব্যাটারিগুলি যে কোনো ইলেকট্রিক যানবাহনে অথবা বৈদ্যুতিন ডিভাইসেই ব্যবহার করা হোক না কেন, তা যদি অনুপযুক্ত উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়, তবে তাতে আগুন লাগার সম্ভাবনা প্রবল থাকে। তবে সফটওয়্যারের গোলযোগ থেকেও আগুন লাগার সম্ভাবনার কথা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।