চালকহীন ট্যাক্সিতে চড়তে পারবে সাধারণ মানুষ, Autonomous ক্যাবের মহড়া শুরু আবুধাবিতে
সমগ্র বিশ্বের ছোট-বড় একাধিক সংস্থা অটোনোমাস (autonomous) বা সেল্ফ ড্রাইভিং সিস্টেম প্রযুক্তির গাড়ি তৈরিতে জোরকদমে হাত লাগিয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক সংস্থা তাঁদের স্বয়ংচালিত গাড়ির প্রাথমিক পর্যায়ের ট্রায়াল করে দেখে নিচ্ছে, যাতে আগামীতে প্রযুক্তির কোনো ফাঁকফোকর না থাকে। এই অটোনোমাস ভেহিকেল তৈরিতে এবার কয়েক ধাপ এগিয়ে গেল আরব আমিরশাহী (UAE)। ইতিমধ্যেই আবু ধাবিতে (Abu Dhabi) চালকবিহীন যাত্রী গাড়ির ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে।
এর ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের থেকে আরব আমিরশাহী স্বয়ংচালিত গাড়ির ভবিষ্যতের দিকে বেশ কয়েক ইঞ্চি এগিয়ে যেতে চলেছে। আবুধাবি স্থিত Group 42 Tech কোম্পানির একটি শাখা, বায়ানাট (Bayanat) নভেম্বরে চারটি চালকবিহীন গাড়ির ট্রায়াল বা প্রয়োগ-পরীক্ষা লঞ্চ করেছিল। তার মধ্যে দুটি সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ চালিত এবং দুটি হাইব্রিড (পেট্রোলের পাশাপাশি বিদ্যুতে চলার ব্যবস্থা) গাড়ি। সংবাদ সংস্থার এফপি (AFP) এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, TXAI (টিএক্সএআই) নামে সেই গাড়িগুলিকে নিয়ে আসা হয়েছে।
এই ড্রাইভারবিহীন ট্যাক্সিগুলিতে ট্রায়ালের সময় উপস্থিত থাকবেন একজন নিরাপত্তা বা সেফটি অফিসার। যিনি স্টিয়ারিংয়ের সামনের সিটে ব্যাকআপ চালকের ভূমিকা পালন করবেন। এক কথায় বলতে গেলে তিনি কেবল মাত্র প্রয়োজনেই স্টিয়ারিং-এ হাত লাগাবেন। এদিকে বেজিংয়ে সম্প্রতি এহেন চালকবিহীন ট্যাক্সি সর্বসমক্ষে নিয়ে আসা হয়েছে। সেটির ট্রায়াল রানের মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন একজন নিরাপত্তা আধিকারিক।
রোবো ট্যাক্সি অপারেটরটি তাদের আরও দশটি এরকম গাড়ি নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে। যেগুলি দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রান চলাকালীন আবু ধাবির বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা। এছাড়াও নিজেদের গাড়িগুলির L3 প্রযুক্তিটি L4 দ্বারা উন্নীত করবে তাঁরা। যার ফলে গাড়িগুলোতে চালকের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন পড়বে না।
প্রসঙ্গত, আবু ধাবি কেবলমাত্র আরব আমিরশাহীর একটি রাষ্ট্র নয় যারা চালকবিহীন গাড়ির ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য রেখেছে, প্রতিবেশী দুবাই (Dubai)-ও এ ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ২০৩০ সালের মধ্যে নিজেদের ২৫% যানবাহন, চালকবিহীন গাড়িতে পরিবর্তিত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তাঁরা। এছাড়াও ২০২৩-এর মধ্যে ছোট সেল্ফ-ড্রাইভিং ট্যাক্সি নিয়ে আসতে চলেছে দুবাই। অন্যদিকে ২০৩০ সালের মধ্যে এই ধরনের রোবো ট্যাক্সির সংখ্যা ৪,০০০-এ পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ এই প্রযুক্তির গাড়ি বাস্তবে এলে খরচ, দূষণ এবং পথ দুর্ঘটনা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।