ইলেকট্রিক স্কুটারের চাহিদা তুঙ্গে, Ather Energy ভারতে তাদের বৃহত্তম কারখানা তৈরি করতে চলেছে
মে মাসে ব্যবসায় লক্ষ্মীলাভের পর এবারে নতুন কারখানা গড়ার দিকে দৃষ্টি দিয়েছে দেশের প্রথম সারির ইলেকট্রিক টু-হুইলার সংস্থা এথার এনার্জি (Ather Energy)। স্কুটারের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি নতুন কারখানার জমির জন্য একাধিক রাজ্য সরকারের সাথে কথাবার্তা চালাচ্ছে। বর্তমানে তামিলনাড়ুর হোসুরে এথারের দু,টি বৈদ্যুতিক স্কুটারের কারখানা রয়েছে। তৃতীয়টি এ বছরের শেষ থেকে চালু করা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যা হবে ভারতে তাদের বৃহত্তম উৎপাদন কেন্দ্র।
এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সংস্থাটি ইতিমধ্যেই কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, গুজরাত, মহারাষ্ট্র এবং অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের সাথে জমির ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে। নতুন কারখানার জন্য তাদের প্রয়োজন ১০০ একর জমি। এই কারখানায় বছরে ১৫ লক্ষ বৈদ্যুতিক স্কুটার তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থার। সূত্রের দাবি, কথাবার্তা চূড়ান্ত পর্যায়ে এগিয়ে গিয়েছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পাকাপাকি খবর আসতে চলেছে।
ভারতে দু'চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে প্রায় ৩৫% মার্কেট শেয়ার রয়েছে এথারের। গত মাসে ৩,৭৮৭টি ই-স্কুটার বিক্রি করে করেছে তারা। যা সংস্থার ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ। বর্তমানে এদেশের ৩২টি শহরে তাদের শোরুম থাকলেও পরবর্তী দু’বছরে ১০০টি শহরে ১৫০ শোরুম খোলার লক্ষ্য স্থির করেছে এথার। বাজারে Ather 450X ও 450 Plus নামে দু’টি ব্যাটারিচালিত স্কুটার বিক্রি করে তারা।
এথারের স্কুটার দু'টি হোসুরের কারখানায় তৈরি হয়, যার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১.২ লক্ষ টু-হুইলার। হোসুরের দ্বিতীয় প্ল্যান্টটি চালু হলে এই সেই ক্ষমতা বেড়ে দাঁড়াবে ৪ লক্ষে। সম্প্রতি বিভিন্ন বিনিয়োগকারীর থেকে ৯৯১ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে পেরেছে এথার এনার্জি। যাদের মধ্যে প্রধান হিরো মোটোকর্প। ২০১৬ থেকে এথারে বিনিয়োগ করে আসছে হিরো। উল্লেখ্য, ২০২২-এর শেষলগ্ন বা ২০২৩-এর প্রথমে Ather 450 সিরিজের দু’টি নতুন মডেল বাজারে আসবে বলে বার্তা দিয়েছে সংস্থা। তার মধ্যে একটি হতে পারে 450X-এর নতুন সংস্করণ। বড় ব্যাটারি যোগ হওয়ার কারণে এর রেঞ্জ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা।