ইলেকট্রিক গাড়ির উপর ভর্তুকি তুলে দিচ্ছে এই রাজ্য, আগস্ট থেকে মিলবে না অর্থ সাহায্য
পরিবেশ দূষণকে কব্জা করতে পরিবেশবান্ধব যানবাহনের ব্যবহার বৃদ্ধি অন্যতম পদক্ষেপ বলে মেনে নিয়েছে সমগ্র বিশ্ব। যার মধ্যে সর্বাগ্রে প্রাধান্য পাচ্ছে বৈদ্যুতিক গাড়ি। ফলে ভারত সহ বিভিন্ন দেশের সরকার এই জাতীয় যানবাহনের ব্যবহার বাড়াতে ইতিমধ্যেই ‘ইলেকট্রিক ভেহিকেল পলিসি’ নিয়ে এসেছে। যেখানে গ্রাহকদের এবং উৎপাদনকারীদের জন্য থাকছে লোভনীয় আর্থিক ভর্তুকি। ভবিষ্যতে বিশ্ব উষ্ণায়ন ঠেকাতে এটি একটি অন্যতম পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। তেমনই ভারতের একদম পশ্চিমের রাজ্য গোয়ার সরকারও গত বছর ডিসেম্বরে বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতি চালু করেছিল। কিন্তু লাগু হওয়ার আট মাসের মাথাতেই গোয়াবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ ঘোষণা করল সরকার। ৩১ জুলাইয়ের পর গোয়া নাগরিকরা বৈদ্যুতিক যানবাহন কিনলে আর কোনো আর্থিক ভর্তুকি পাবেন না।
২০২৫-এর মধ্যে রাজ্যে রেজিস্ট্রেশন হওয়া নতুন যানবাহনের ৩০ শতাংশ বৈদ্যুতিক করার লক্ষ্যে আনা হয়েছিল এই ইলেকট্রিক ভেহিকেল (ইভি) পলিসি। ব্যক্তিগত অথবা বাণিজ্যিক উভয় প্রকার যানবাহন কেনার ক্ষেত্রেই এই ভর্তুকি ধার্য করা হয়েছিল। যার জন্য সর্বোচ্চ ৩০,০০০ টাকা দেওয়া হতো। তবে ইভি পলিসির শর্তে বলা হয়েছিল প্রথম ৩,০০০ টু-হুইলার, ৫০টি থ্রি-হুইলার এবং ৩০০টি চার চাকার বৈদ্যুতিক গাড়িতে এই আর্থিক সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা।
কিন্তু গ্রাহকদের জন্য এই সুবিধা বন্ধের কথা ঘোষণা করা হলেও, নির্মাতাদের জন্য এটি লাগু থাকবে বলে জানিয়েছে গোয়া সরকার। আগের মতই নির্দিষ্ট আর্থিক লগ্নির ক্ষেত্রে ২০% বা ৫ কোটি টাকার (যেটি কম হয়) ছাড় এবং স্টেট জিএসটির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ছাড় মিলবে সংস্থাগুলির। আবার কারখানা গড়ার জন্য জমি কিনলে স্ট্যাম্প ডিউটিতে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।
ইভি পলিসিতে এ-ও বলা হয়েছিল, ৩১ ডিসেম্বর, ২০৩০-এর মধ্যে গোয়ায় কেবলমাত্র ইলেকট্রিক টু-হুইলার বিক্রি করা হবে। কিন্তু সরকারের নীতিতে হঠাৎ এই পরিবর্তনের কারণ হিসেবে রাজ্যের অপর্যাপ্ত চার্জিং পরিকাঠামোকে দায়ী করা হয়েছে। তাই বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করে সেদিকেই নজর ঘোড়াতে চাইছে সরকার। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, গোয়ার শহরাঞ্চলে প্রতি ৩ কিলোমিটার অন্তর একটি বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশন বসানো হবে। আবার হাইওয়েতে প্রতি ২৫ কিলোমিটার অন্তর চার্জিং স্টেশন গড়ে তোলা হবে।