100 শহরে পৌঁছে গেল Airtel এর 5G পরিষেবা, আপনার ফোনে কীভাবে ব্যবহার করবেন জেনে নিন

গত বছরের অক্টোবরের গোড়ার দিকে ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছিল 5G সার্ভিস। তারপর থেকে একেবারে জেট গতিতে এদেশের একের পর এক শহরে পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক পরিষেবা রোলআউট করে চলেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর Bharti Airtel। এর ফলে বর্তমানে ভারতের নির্বাচিত কিছু শহরের Airtel গ্রাহকরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিজেদের 5G স্মার্টফোনে বিদ্যমান 4G সিম মারফতই কোম্পানির ৫জি প্লাস (Airtel 5G Plus) সার্ভিস ব্যবহার করতে সক্ষম হচ্ছেন। সম্প্রতি পাওয়া খবর অনুযায়ী, এবার উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি শহরে পাওয়া যাবে সংস্থার এই দুরন্ত গতির নেট সার্ভিস। Airtel ঘোষণা করেছে যে, এখন কোহিমা, ইটানগর, আইজল, গ্যাংটক, শিলচর, ডিব্রুগড় এবং তিনসুকিয়ায় গ্রাহকরা কোনো অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই 5G Plus পরিষেবা ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। উল্লেখ্য যে, এর আগে গুয়াহাটি, শিলং, ইম্ফল, আগরতলা এবং ডিমাপুরে পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক পরিষেবা চালু করেছিল সংস্থাটি।

এর ফলে সবমিলিয়ে বর্তমানে ভারতের ১০০ টিরও বেশি শহরে পৌঁছে গিয়েছে এয়ারটেল ৫জি প্লাস সার্ভিস। যদিও প্যান ইন্ডিয়া স্তরে কবে এই সার্ভিস উপলব্ধ হবে, তা এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না; তবে সংস্থাটি যেভাবে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে, তাতে আশা করা যেতে পারে যে, ২০২৪ সালের মধ্যেই হয়তো সকল দেশবাসী এয়ারটেলের নব্য প্রজন্মের নেটওয়ার্ক পরিষেবা ব্যবহার করতে সক্ষম হবেন। সেক্ষেত্রে ইউজারদের সুবিধার্থে নীচে সেই সকল রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির তালিকা দেওয়া হল, যেখানে এই মুহূর্তে এয়ারটেল ৫জি প্লাস পরিষেবা উপলব্ধ রয়েছে।

এই সকল জায়গায় পাওয়া যাবে Airtel 5G Plus পরিষেবা

১. আসাম – গুয়াহাটি, তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়, শিলচর

২. অন্ধ্রপ্রদেশ – ভাইজাগ, বিজয়ওয়াড়া, রাজামুন্দ্রি, কাকিনাড়া, গুন্টুর, কুর্নুল এবং তিরুপতি

৩. বিহার – পাটনা, মুজাফফরপুর, বোধগয়া, ভাগলপুর, বেগুসরাই, কাটিহার, কিষাণগঞ্জ, পূর্ণিয়া, গোপালগঞ্জ, বাঢ়, বিহারশরীফ, বিহতা, নওয়াদা, সোনপুর

৪. দিল্লি

৫. গুজরাট – আহমেদাবাদ, সুরাট, ভাদোদরা এবং রাজকোট

৬. হরিয়ানা- গুরুগ্রাম, পানিপথ, ফরিদাবাদ, আম্বালা, কার্নাল, সোনিপত, যমুনানগর ও বাহাদুরগড়

৭. হিমাচল প্রদেশ – সিমলা

৮. জম্মু ও কাশ্মীর – জম্মু, শ্রীনগর, সাম্বা, কাঠুয়া, উধমপুর, আখনুর, কুপওয়ারা, লক্ষনপুর এবং খোর

৯. ঝাড়খন্ড – রাঁচি ও জামশেদপুর

১০. কর্ণাটক – বেঙ্গালুরু

১১. কেরালা – কোচি, ত্রিভেন্দ্রম, কোঝিকোড় এবং ত্রিশূর

১২. মহারাষ্ট্র – মুম্বাই, নাগপুর এবং পুনে

১৩. মধ্য প্রদেশ – ইন্দোর

১৪. মণিপুর – ইম্ফল

১৫. ওড়িশা- ভুবনেশ্বর, কটক, রাউরকেলা ও পুরি

১৬. রাজস্থান – জয়পুর, কোটা এবং উদয়পুর

১৭. তামিলনাড়ু – চেন্নাই, কোয়েম্বাটুর, মাদুরাই, হোসুর এবং ত্রিচি

১৮. তেলেঙ্গানা – হায়দ্রাবাদ, ওয়ারাঙ্গল এবং করিমনগর

১৯. সিকিম – গ্যাংটক

২০. মিজোরাম – আইজল

২১. অরুণাচল প্রদেশ – ইটানগর

২২. নাগাল্যান্ড – কোহিমা

২৩. ছত্তিশগড় – রায়পুর এবং দুর্গ-ভিলাই

২৪. ত্রিপুরা – আগরতলা

২৫. উত্তরাখণ্ড – দেরাদুন

২৬. উত্তর প্রদেশ- বারাণসী, লখনউ, আগ্রা, মীরাট, গোরক্ষপুর, কানপুর, প্রয়াগরাজ, নয়ডা ও গাজিয়াবাদ

২৭. পশ্চিমবঙ্গ – শিলিগুড়ি

Airtel-এর 5G পরিষেবা পেতে হলে ইউজারদেরকে কী করতে হবে?

চলতি সময়ে এয়ারটেলের পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক সার্ভিসের স্বাদ পেতে চাইলে ইউজারদেরকে অবশ্যই কোম্পানিটির গ্রাহক হতে হবে। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, এয়ারটেল ব্যবহারকারীরা এয়ারটেল থ্যাঙ্কস (Airtel Thanks) অ্যাপে গিয়ে চেক করে দেখতে পারেন যে তারা সংস্থার ৫জি পরিষেবা ব্যবহারের জন্য এলিজিবল কি না। তদুপরি, ইউজারদের হাতে থাকা স্মার্টফোন এবং তাদের নিজেদের শহরে সংস্থার ৫জি সার্ভিস উপলব্ধ কি না, তাও এই অ্যাপ মারফত অতি অনায়াসে জেনে ফেলা যাবে। উল্লেখ্য যে, যাদের ৫জি ফোনে এই মুহূর্তে সংস্থার পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক সার্ভিস উপলব্ধ নয়, তাদেরকে প্রথমে সংশ্লিষ্ট হ্যান্ডসেট কোম্পানি কর্তৃক প্রদত্ত লেটেস্ট সফটওয়্যার আপডেটটি ডিভাইসে ইন্সটল করতে হবে। এরপর ফোনের সেটিংসে গিয়ে প্রেফারড নেটওয়ার্ক টাইপ (Preferred network type)-এ ‘৫জি অনলি’ (5G only) অপশনটিকে সিলেক্ট করতে হবে।